ব্লগ প্রতিযোগিতার নামে জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলে আবার সেই সাজানো খেলায় নেমেছে। সামহোয়্যারের স্টিকি পোস্টে
ব্লগারদের ক্ষীণ উপস্থিতিই জানান দিচ্ছে, ডয়চে ভেলের ওই সাজানো
প্রতিযোগিতা নিয়ে কতোটা অনাগ্রহ তাদের। তবে নতুন খবর হল, এবার আরো এক
ডিগ্রি ওপরে উঠে খেলাটি হতে যাচ্ছে পুরোপুরি পাতানো। বাংলা ভাষার সেরা
ব্লগার নাম দিয়ে যাকে নির্বাচন করা হবে, তার নাম আগেই চূড়ান্ত হয়ে আছে।
ডয়চে ভেলে এখন মনোনয়ন চাইছে। বলা হচ্ছে ভোটাভুটিও হবে। আসলে মনোনয়ন কিংবা
ভোটাভুটিটা নাম মাত্র, ডয়চে ভেলের হিট প্রজেক্ট বলাই ভালো। ডয়চে ভেলের
ভেতরকার সূত্র বলছে, এমনকি ভোটাভুটির পাতানো খেলায় কেউ যদি জিতেও যায়,
তাহলে বিচারকদের কোটায় আগে থেকেই নির্বাচিত প্রার্থীকে তুলে আনা হবে। তাকে
দিয়ে ইস্যুভিত্তিক ফরমায়েশি কিছু লেখাও ইতিমধ্যে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্লগে।
ব্যাপারটা যে টাকার খেলা কিংবা স্বজনপ্রীতি তাও নয়, তারা মূলত একটি
'সেনসেশন' তৈরি করতে চাইছে। সম্ভাব্য কিছু জটিলতা এড়াতে নামটি গোপন রাখছি
আপাতত, তবে সচেতন ব্লগারদের পক্ষে সেটা অনুমান করা খুব কঠিন হবে না বলে
বিশ্বাস আমার।
ঠুঁটো জগন্নাথ
বিচারক এবার ড. শহীদুল ইসলাম। আলোকচিত্রী হিসেবে তার আছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ইংরেজি ভাষায় তার একটি ব্লগ আছে বটে, কিন্তু তিনি নিজে কখনো বাংলায় ব্লগ লেখা তো দূরের, এমনকি বাংলা ব্লগ সম্পর্কে তার ধারণা নেই বললেও চলে। সেটা আবার তিনি নিজে স্বীকারও করেছেন একাধিক সাক্ষাৎকারে। এখন ডয়চে ভেলে তার ঘাড়েই তুলে দিয়েছে বাংলা ব্লগ বিচারের ভার। সুতরাং কী হবে সেটা অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। তবে সাদামাটা ভাষায় বললে, এ হল শহীদুল ইসলামকে ঠুঁটো জগন্নাথ সাজিয়ে এ হল দেবারতি গুহ আর আরাফাতুল ওরফে হাবিব মহাজনের একটি সাজানো প্রজেক্ট। বলাবাহূল্য, ব্লগ বিচারের পদ্ধতিটা তার চেয়েও সাজানো। বাংলা ব্লগ নিয়ে স্বল্পজ্ঞানসম্পন্ন বাংলা ভাষার বিচারক অন্য ভাষার বিচারকদের বাংলাভাষী ব্লগারদের সম্পর্কে ধারণা দেবেন। আর সেই ধারণা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সবাই মিলে সেরা ব্লগার নির্বাচন করা হবে। ব্যাপারটা এমনই। প্রথম শ্রেণীর গর্দভ ছাড়া এইরকম হাস্যকর বিচার একমাত্র ডয়চে ভেলের পক্ষেই সম্ভব। প্রতারক ডয়চে ভেলেকে 'আ বিগ নো' বলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বাক্য ব্যয় করাও অর্থহীন, সময়ের অপচয়।
গত বছরের কাণ্ড-অকাণ্ড
■ ব্লগ প্রতিযোগিতায় অবশেষে সেই ফলাফল, ভোটের অংক আর চোরের দশদিন
■ ব্লগ প্রতিযোগিতায় ভোট কেলেঙ্কারি : প্রতিবাদে সোচ্চার বিদেশী ব্লগাররাও
■ ডয়চে ভেলে ব্লগ প্রতিযোগিতায় ভোট কেলেঙ্কারি : ব্লগারদের নির্বাচিত ৫০ মন্তব্য
■ ব্লগ প্রতিযোগিতা : ভোট নিয়ে অবিশ্বাস্য জালিয়াতি, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চাই
সংযুক্তি
ঠুঁটো জগন্নাথ
বিচারক এবার ড. শহীদুল ইসলাম। আলোকচিত্রী হিসেবে তার আছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ইংরেজি ভাষায় তার একটি ব্লগ আছে বটে, কিন্তু তিনি নিজে কখনো বাংলায় ব্লগ লেখা তো দূরের, এমনকি বাংলা ব্লগ সম্পর্কে তার ধারণা নেই বললেও চলে। সেটা আবার তিনি নিজে স্বীকারও করেছেন একাধিক সাক্ষাৎকারে। এখন ডয়চে ভেলে তার ঘাড়েই তুলে দিয়েছে বাংলা ব্লগ বিচারের ভার। সুতরাং কী হবে সেটা অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। তবে সাদামাটা ভাষায় বললে, এ হল শহীদুল ইসলামকে ঠুঁটো জগন্নাথ সাজিয়ে এ হল দেবারতি গুহ আর আরাফাতুল ওরফে হাবিব মহাজনের একটি সাজানো প্রজেক্ট। বলাবাহূল্য, ব্লগ বিচারের পদ্ধতিটা তার চেয়েও সাজানো। বাংলা ব্লগ নিয়ে স্বল্পজ্ঞানসম্পন্ন বাংলা ভাষার বিচারক অন্য ভাষার বিচারকদের বাংলাভাষী ব্লগারদের সম্পর্কে ধারণা দেবেন। আর সেই ধারণা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সবাই মিলে সেরা ব্লগার নির্বাচন করা হবে। ব্যাপারটা এমনই। প্রথম শ্রেণীর গর্দভ ছাড়া এইরকম হাস্যকর বিচার একমাত্র ডয়চে ভেলের পক্ষেই সম্ভব। প্রতারক ডয়চে ভেলেকে 'আ বিগ নো' বলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বাক্য ব্যয় করাও অর্থহীন, সময়ের অপচয়।
গত বছরের কাণ্ড-অকাণ্ড
■ ব্লগ প্রতিযোগিতায় অবশেষে সেই ফলাফল, ভোটের অংক আর চোরের দশদিন
■ ব্লগ প্রতিযোগিতায় ভোট কেলেঙ্কারি : প্রতিবাদে সোচ্চার বিদেশী ব্লগাররাও
■ ডয়চে ভেলে ব্লগ প্রতিযোগিতায় ভোট কেলেঙ্কারি : ব্লগারদের নির্বাচিত ৫০ মন্তব্য
■ ব্লগ প্রতিযোগিতা : ভোট নিয়ে অবিশ্বাস্য জালিয়াতি, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চাই
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন