লেখক কী লিখবেন, সেটি তার স্বাধীনতা
হাসনাত আবদুল হাইয়ের সেই ছোট গল্পে সীমা নামের একটি মেয়ের জীবনকথা চিত্রিত হয়েছে। চাঁদে যেমন সাঈদীর ছবি খুঁজে পেয়েছেন অনেকে, ঠিক তেমনি ওই গল্পে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো এক নারীকর্মীর জীবনকাহিনী খুঁজে পেয়েছেন কল্পনার জোর খাটিয়ে। অনেকে এনেছেন অশ্লীলতার অভিযোগ। সাহিত্যে যৌনতা থাকাটা কি অবৈধ কোনো কিছু? কোনো লেখা কারো ভালো লাগতে না পারে, কারো কোনো লেখা একজনের কাছে অশ্লীল মনে হতে পারে, তিনি আপত্তি জানাতেই পারেন। ক্ষুব্ধ কেউ সমালোচনাও করতে পারেন শালীন ভাষায়, সাহিত্যের প্রথা মেনে। আবার কারো কাছে সেই একই লেখা অশ্লীল মনে নাও হতে পারে। কিন্তু একজন লেখকের লেখা একেবারে বাতিল করে দেওয়া যায় না। লেখকের কলমের ওপর ফিল্টার বসানো যায় না। লেখক কী লিখবেন, সেটি পুরোপুরিই তার নিজের স্বাধীনতা। অমুক-তমুক এই নির্দেশ দিতে পারেন না যে, লেখক এই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন আর ওই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। অমুক বিষয়ে লেখা যাবে আর তমুক বিষয়ে লেখা যাবে না। এগুলো শ্রেফ তালেবানি মানসিকতা। জামায়াতে-হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে এইসব প্রগতিশীল-মোল্লার খুব বেশি তফাৎ নেই। হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখাটির ক্ষেত্রে যা ঘটছে, তা হচ্ছে লেখকের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ - স্পষ্ট করে বললে শব্দ-তালেবানি। ব্লগ ও ফেসবুকের কল্যাণে এই শব্দ-তালেবানি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। এই তালেবানদের হাতে লেখকের স্বাধীনতা পরাস্ত হতে পারে না। একপাল শব্দ-তালেবানের হাতে লেখকের স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত হবে- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তা না হলে হয়তো এমন একদিন আসবে, প্রগতিশীলতার ভেক ধরা এই শব্দ-তালেবানরা তাদের পছন্দসই শব্দ কিংবা প্লটের তালিকা ধরিয়ে দেবে লেখকের হাতে। আর লেখক সেই তালিকা দেখে দেখে শ্লীল সাহিত্য-আইনসম্মত সাহিত্য রচনা করবেন।
শব্দ-তালেবানদের প্রতিহত করা জরুরি
প্রগতির স্বার্থে যে কোনো মূল্যে এই শব্দ-তালেবানদের প্রতিহত করা জরুরি। এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়েছি অতীতে, লড়বো সারাজীবনই।
•|•|• ইউক্লিডের ব্লগ •|•|• EUKLID'S BLOG •|•|•
উত্তরমুছুনhttp://euklidrony.blogspot.com/
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনyour website is very helpful-www.madeinbd.xyz
উত্তরমুছুন