১০ মে রাজধানীর ইউল্যাবের সামনে ইউল্যাবের শিক্ষার্থী পরিচয়ে যৌন হয়রানির যে ঘটনা
ঘটেছে, তা নিয়ে ব্লগারদের আন্দোলন অভূতপূর্ব নিঃসন্দেহে। তবে সার্বিকভাবে
ব্লগাররা যেহেতু অসংগঠিত, সেজন্য তারা খুব সম্ভবত ভুল পথে হাঁটছে, যে কারণে
এই আন্দোলন তার কাঙ্ক্ষিত সুফল নাও পেতে পারে শেষপর্যন্ত। আর অন্যদিকে
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার দিকে এগোচ্ছে
পরিকল্পিতভাবেই। কিভাবে? সেটাই বলছি একেক করে-
অপরাধী শনাক্ত হয়ে গেছে, তবে...
ইউল্যাবের প্রশাসনিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, সেদিনের নারী ও ব্লগার লাঞ্ছনার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ। ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ গত সোমবারও প্রথম আলোকে যা বলেছে, "ওই রাতে একজন নারী ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত ছেলেরা ইউল্যাবের ছাত্র কি না, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।" এটা পুরোপুরি মিথ্যাচার। বিশ্ববিদ্যালয়টির তথাকথিত সুনাম রক্ষার্থে এই লুকোচুরিতে নেমেছে তারা এবং সচেতনভাবেই অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের বোঝার সুবিধার্থে আমি শনাক্ত হওয়া এক অপরাধীর নামের আদ্যাক্ষরও জানিয়ে দিচ্ছি। ২০১১ ব্যাচের সেই শিক্ষার্থীর নামের প্রথম দুটি অক্ষর 'আদ', যে কিনা ওই এলাকায় ইভটিজিং, মাস্তানি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিন ধরেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে এই সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। সামহোয়্যারইনের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে সেটা তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে। ওই বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে - "ইউল্যাব তার সিসিটিভি’র উক্ত সময়ের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে।" খতিয়ে তারা কী দেখেছে, সেটা সচেতনভাবে চেপে যাওয়া হয়েছে, ব্লগারদেরও কেউ গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রশ্নটি তোলেনি এ পর্যন্ত।
সেই সিসিটিভি ফুটেজ কোথায়?
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটিতে ঢালতলোয়ারবিহীন ব্লগার প্রতিনিধিদের সত্যিকার অর্থে করার তেমন কিছু নেই। ইভটিজিং নিয়ে বড়জোর জ্ঞানগর্ভ ভাষণ অথবা টেবিলের কোনো একটি কোনা ধরে গোঁ ধরে বসে থাকা ছাড়া করার কিছু আসলেই নেই। ঠিক এই সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতার সুযোগটিই নিতে চাইছে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য করুন, তদন্তকাজে যখনই ব্লগারদের প্রতিনিধি সম্পৃক্ত হবেন, তখনই তদন্তের দায়ভার কেবল ইউল্যাবের ওপরেই নয়, ব্লগারদেরও বহন করতে হবে - ভালো মন্দ যা-ই হোক। আরো সহজভাবে বললে, ইউল্যাবের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে তৈরি, কেবল সেটি হালাল করার জন্যই ব্লগারদের প্রতিনিধি নেওয়ার জন্য তারা বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে। যেন কথিত 'সর্বসম্মত তদন্তের' পরে ব্লগারদের আর কিছু বলার মুখ না থাকে। সবচেয়ে বড়ো কথা, যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে এখনো সংরক্ষিত আছে, সেখানে তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করার কোনো অর্থ কী?
এই মুহূর্তে যা করা জরুরি
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। ব্লগারদের এক বা দুজন প্রতিনিধি কিংবা সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষের হাতে ওই সময়ের ফুটেজ সরবরাহ করা হোক। ব্লগারদের মধ্যেই অভিজ্ঞ অনেকেই আছেন (এমনকি আমি নিজেও), তারা সেই ভিডিও থেকে স্থিরচিত্র তৈরি করবেন। সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষ একটি স্টিকি পোস্টের মাধ্যমে সেই ছবিগুলো প্রকাশ করবে। এতে পুরো দিনও লাগবে না আশা করি, কয়েক ঘন্টার মধ্যে অপরাধীরা শনাক্ত হবে। যেহেতু ইতিমধ্যে ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া গেছে, কাজেই ঘটনার সত্যতা নির্ণয় এবং অপরাধী শনাক্তকরণ মোটেই কঠিন কোনো কাজ হবে না। ইতিমধ্যে একজন শিক্ষকও একই স্থানে প্রায় অনুরূপ একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। তিনি যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল নম্বরও একজন ব্লগারকে দিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি সাক্ষ্য দেবেন। ফলে ওই শিক্ষকও তদন্তকাজে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হতে পারেন।
সুতরাং, প্রিয় ব্লগার, কালক্ষেপণ করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার আগেই সোচ্চার হোন প্লিজ।
অপরাধী শনাক্ত হয়ে গেছে, তবে...
ইউল্যাবের প্রশাসনিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, সেদিনের নারী ও ব্লগার লাঞ্ছনার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ। ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ গত সোমবারও প্রথম আলোকে যা বলেছে, "ওই রাতে একজন নারী ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত ছেলেরা ইউল্যাবের ছাত্র কি না, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।" এটা পুরোপুরি মিথ্যাচার। বিশ্ববিদ্যালয়টির তথাকথিত সুনাম রক্ষার্থে এই লুকোচুরিতে নেমেছে তারা এবং সচেতনভাবেই অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের বোঝার সুবিধার্থে আমি শনাক্ত হওয়া এক অপরাধীর নামের আদ্যাক্ষরও জানিয়ে দিচ্ছি। ২০১১ ব্যাচের সেই শিক্ষার্থীর নামের প্রথম দুটি অক্ষর 'আদ', যে কিনা ওই এলাকায় ইভটিজিং, মাস্তানি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিন ধরেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে এই সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। সামহোয়্যারইনের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে সেটা তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে। ওই বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে - "ইউল্যাব তার সিসিটিভি’র উক্ত সময়ের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে।" খতিয়ে তারা কী দেখেছে, সেটা সচেতনভাবে চেপে যাওয়া হয়েছে, ব্লগারদেরও কেউ গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রশ্নটি তোলেনি এ পর্যন্ত।
সেই সিসিটিভি ফুটেজ কোথায়?
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটিতে ঢালতলোয়ারবিহীন ব্লগার প্রতিনিধিদের সত্যিকার অর্থে করার তেমন কিছু নেই। ইভটিজিং নিয়ে বড়জোর জ্ঞানগর্ভ ভাষণ অথবা টেবিলের কোনো একটি কোনা ধরে গোঁ ধরে বসে থাকা ছাড়া করার কিছু আসলেই নেই। ঠিক এই সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতার সুযোগটিই নিতে চাইছে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য করুন, তদন্তকাজে যখনই ব্লগারদের প্রতিনিধি সম্পৃক্ত হবেন, তখনই তদন্তের দায়ভার কেবল ইউল্যাবের ওপরেই নয়, ব্লগারদেরও বহন করতে হবে - ভালো মন্দ যা-ই হোক। আরো সহজভাবে বললে, ইউল্যাবের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে তৈরি, কেবল সেটি হালাল করার জন্যই ব্লগারদের প্রতিনিধি নেওয়ার জন্য তারা বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে। যেন কথিত 'সর্বসম্মত তদন্তের' পরে ব্লগারদের আর কিছু বলার মুখ না থাকে। সবচেয়ে বড়ো কথা, যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে এখনো সংরক্ষিত আছে, সেখানে তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করার কোনো অর্থ কী?
এই মুহূর্তে যা করা জরুরি
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। ব্লগারদের এক বা দুজন প্রতিনিধি কিংবা সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষের হাতে ওই সময়ের ফুটেজ সরবরাহ করা হোক। ব্লগারদের মধ্যেই অভিজ্ঞ অনেকেই আছেন (এমনকি আমি নিজেও), তারা সেই ভিডিও থেকে স্থিরচিত্র তৈরি করবেন। সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষ একটি স্টিকি পোস্টের মাধ্যমে সেই ছবিগুলো প্রকাশ করবে। এতে পুরো দিনও লাগবে না আশা করি, কয়েক ঘন্টার মধ্যে অপরাধীরা শনাক্ত হবে। যেহেতু ইতিমধ্যে ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া গেছে, কাজেই ঘটনার সত্যতা নির্ণয় এবং অপরাধী শনাক্তকরণ মোটেই কঠিন কোনো কাজ হবে না। ইতিমধ্যে একজন শিক্ষকও একই স্থানে প্রায় অনুরূপ একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। তিনি যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল নম্বরও একজন ব্লগারকে দিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি সাক্ষ্য দেবেন। ফলে ওই শিক্ষকও তদন্তকাজে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হতে পারেন।
সুতরাং, প্রিয় ব্লগার, কালক্ষেপণ করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার আগেই সোচ্চার হোন প্লিজ।
প্রথম প্রকাশ
১৭ মে, ২০১২ এ ৫:২২ AM
ভালোই হলো ব্যাকাপ রয়ে গেল :)