|
[ বড়ো আকারে দেখার জন্য
ছবির ওপরে ক্লিক করুন ] |
মানুষের নির্বুদ্ধিতার প্রশংসা করতে হয়। ছুটিছাটায়, বিশেষ করে দুই ঈদে রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ ঘরে তালা না লাগিয়েই বাড়ি চলে যেতেন। চোর-ডাকাতেরও যেহেতু ঈদ আছে, গ্রামের বাড়ি যেতে হয় তাদেরও। ফলে রাজধানীর তালাবিহীন হাজার হাজার বাসা-বাড়ি চুরিচামারির হাত থেকে রেহাই পেয়ে যেত। কিন্তু সময় বদলেছে, চোর-ডাকাত বেড়েছে, কাজেই আগের দিনও আর নেই। এটি সবচেয়ে ভালো জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং। দায়িত্বশীল অভিভাবকের মতোই তিনি নগরবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন—‘ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেলে অবশ্যই ঘরে তালা দিয়ে যাবেন।’ কোন্ ব্র্যান্ডের তালা, দেশি নাকি বিদেশি—সে বিষয়ে মুখ খোলেননি সাহারা খাতুন। সেটিই স্বাভাবিক, কারণ জ্ঞানীরা কখনোই বেশি কথা বলেন না। তবে এবার হয়তো নির্বোধ মানুষগুলোর কাণ্ডজ্ঞান ফিরবে।
এমনিতে নগরবাসীর মধ্যে তালাবিষয়ক সচেতনতার ঘাটতি থাকলেও তালাচর্চার ঐতিহ্য বহু পুরোনো। নানা ঝড়ঝাপটার মধ্যেও এই ঐতিহ্য টিকে আছে সগৌরবে। এই তো সেদিন, নেতাকে ভর্তি না করায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সৈয়দপুরের পাইলট স্কুলে তালা লাগিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা। শ্রীপুরের কার্টন কারখানা থেকে কারমাইকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন, ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগ থেকে লক্ষ্মীপুরের মুরগির খামার—কোনোটিই বাদ নেই তালাচর্চা থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার পর চারদিকে এখন তালা নিয়ে কান ঝালাপালা। জয় তালা!
সংযুক্তি
ই-প্রথম আলো □
প্রথম আলো অনলাইন ১ □
প্রথম আলো অনলাইন ২
ফেসবুক ফ্যান পেইজ □
সামহোয়্যারইন ব্লগ
প্রকাশকাল : ১৩ আগস্ট ২০১২
About author
ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
১৩ আগস্ট, ২০১২ এ ১১:৪২ AM
বাজারতো তালার হাহাকার!! কারওয়ান বাজার, ঠাঁটারী বাজার কোথাও তালা নেই...তাহলে কি সব তালাই যাচ্ছে ওই সব কর্ম সাধনে!
আমরা তবে বাসায় তালা দিব কেমন করে?! সাহারা আপার কাছে প্রশ্ন থেকেই গেল...!