লিখেছেন পল্লব মোহাইমেন
৪ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওয়েবসাইটটি হ্যাকড (অবৈধ দখল) হয়ে যায়। হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি যে তরুণ ঘটিয়েছে সে নিজেই দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এরপর আমরা দেখলাম সেই তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার্থী শাহী মীর্জা ও তার তিন সঙ্গীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের আগে ও পরে শাহী মীর্জা বলেছে, সে এবং তার সঙ্গীরা এর আগেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করেছে (হ্যাকিং)। হ্যাক করার পর কিছু সময় পর্যন্ত ওয়েবসাইটগুলোর নিয়ন্ত্রণও তারা নিয়েছিল।
র্যাব কর্তৃপক্ষ বলেছে, হ্যাকিং একটি অপরাধ-বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এটি শাস্তিযোগ্য। আর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যেহেতু প্রচলিত আইনে হ্যাকিং একটি অপরাধ, তাই র্যাব মাদক চোরাচালান বা অন্যান্য জঘন্য অপরাধে সংশ্লিষ্ট দাগি অপরাধীদের মতো করে এই তরুণদের বুকে ‘ট্যাগ’ লাগিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেছে।
এ ঘটনায় দুটি বিষয় আমাদের সামনে উঠে এসেছে। এক· বাংলাদেশের মতো দেশ, যেটি তথ্যপ্রযুক্তির উ্নেষকাল পার করছে, সে দেশে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আর এসব অপরাধ দমনের জন্য আইনও বাংলাদেশে আছে। দুই· বাংলাদেশের সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো কতটা অরক্ষিত এবং এসবের নিরাপত্তাব্যবস্থা কতটা ঠুনকো!
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশকাল এখনো পার করছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় হ্যাকিং বা কম্পিউটারনির্ভর ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ যেমন বেআইনি তেমনি তা কাম্যও নয়। তবে হ্যাকিং আর ক্র্যাকিংয়ের মধ্যে যে পার্থক্য, সেটাও বুঝতে হবে। সব দেশে সব ক্ষেত্রে হ্যাকিং অপরাধ নয়। কম্পিউটারের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে হ্যাকিং অনেকক্ষেত্রেই প্রচলিত একটি পরীক্ষণ পদ্ধতি। আর যদি এই হ্যাকিং হয় অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে (যেমন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে অর্থ চুরি করা) তখন সেটি হয়ে যায় ক্র্যাকিং। ক্র্যাকিং ১০০ শতাংশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। হ্যাকিং ক্ষেত্রবিশেষে অপরাধ হতে পারে, তার বেশি কিছু নয়। শাহী মীর্জারা যা করেছে, সেটি হ্যাকিং। নিজের দক্ষতা প্রকাশের বাইরে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে কাজ করেনি। এর আগেও তারা অনেক ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করেছে, তখন তাদের ধরা হয়নি বা ধরা সম্ভব হয়নি।
পুরো ঘটনায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তার দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। কীভাবে ওয়েবসাইটগুলোতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে তা যে খতিয়ে দেখার সময় এসেছে, এ ঘটনা সেটিও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়েছে সরকারের ই-গভর্নেন্স-সংক্রান্ত নানা রকম প্রকল্পের আওতায়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। যাঁরা একটু খবর রাখেন, তাঁরা জানেন সরকারি বেশ কিছু ওয়েবসাইট অসম্পূর্ণ। এগুলো সচরাচর হালনাগাদ হয় না।
দক্ষ প্রোগ্রামার ছাড়া সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর পক্ষে হ্যাকিং করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা হয়তো এতটাই দুর্বল যে কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান থাকলেও হয়তো সেগুলো হ্যাক করা সম্ভব।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় প্রধান যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো এর নিরাপত্তা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে ওয়েবনির্মাতাকে অসাধারণ মেধার অধিকারী হতে হবে এমনও নয়। বাজারে প্রচুর তৈরি করা নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে। সেগুলো ব্যবহার করা আর নিয়মিত হালনাগাদ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংবাদ সংগ্রহের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের অসংগতি নিয়ে কতৃêপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তথ্য হালানাগাদ হয়নি কেন বা তথ্যশূন্যতা কেন? এ জাতীয় প্রশ্নের কোনো সদুত্তর কখনোই পাওয়া যায়নি।
শাহী মীর্জাদের গুরুতর অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত না করে তারা যে বার্তাটা দিতে চেয়েছে তা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। তারা সাইবার অপরাধ করেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই, কিন্তু তাদের দিয়ে কোনো ওয়েবসাইটের কী কী নিরাপত্তা ত্রুটি আছে তা বের করে ওয়েবসাইটগুলোর জন্য কার্যকর নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এমন উদাহরণ বিশ্বে প্রচুর আছে। ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল নামের একটি কম্পিউটার ভাইরাস বিশ্বব্যাপী অসংখ্য কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ও তথ্যের ক্ষতি করেছিল। এতে আর্থিক ক্ষতিও হয়েছিল। কিন্তু এর নির্মাতা চেন ইং হাওকে গ্রেপ্তার করার পরও শেষ পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয়নি। এখন তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার নিরাপত্তা, যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত।
বাংলাদেশে আমরা এতটা আশা করি না। আমরা চাই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোতে যেন সত্যিকারের নিরাপত্তা থাকে। আর যদি কেউ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দেয়, তবে তাকে দাগি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত না করে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে। স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই যেন তাদের রাখা হয়। আর চেষ্টা করা যেতে পারে তাদের দক্ষতাকে শুভশক্তির কাজে লাগানোর।
মূল লেখার লিংক
৪ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওয়েবসাইটটি হ্যাকড (অবৈধ দখল) হয়ে যায়। হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি যে তরুণ ঘটিয়েছে সে নিজেই দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এরপর আমরা দেখলাম সেই তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার্থী শাহী মীর্জা ও তার তিন সঙ্গীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের আগে ও পরে শাহী মীর্জা বলেছে, সে এবং তার সঙ্গীরা এর আগেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করেছে (হ্যাকিং)। হ্যাক করার পর কিছু সময় পর্যন্ত ওয়েবসাইটগুলোর নিয়ন্ত্রণও তারা নিয়েছিল।
র্যাব কর্তৃপক্ষ বলেছে, হ্যাকিং একটি অপরাধ-বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এটি শাস্তিযোগ্য। আর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যেহেতু প্রচলিত আইনে হ্যাকিং একটি অপরাধ, তাই র্যাব মাদক চোরাচালান বা অন্যান্য জঘন্য অপরাধে সংশ্লিষ্ট দাগি অপরাধীদের মতো করে এই তরুণদের বুকে ‘ট্যাগ’ লাগিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেছে।
এ ঘটনায় দুটি বিষয় আমাদের সামনে উঠে এসেছে। এক· বাংলাদেশের মতো দেশ, যেটি তথ্যপ্রযুক্তির উ্নেষকাল পার করছে, সে দেশে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আর এসব অপরাধ দমনের জন্য আইনও বাংলাদেশে আছে। দুই· বাংলাদেশের সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো কতটা অরক্ষিত এবং এসবের নিরাপত্তাব্যবস্থা কতটা ঠুনকো!
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশকাল এখনো পার করছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় হ্যাকিং বা কম্পিউটারনির্ভর ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ যেমন বেআইনি তেমনি তা কাম্যও নয়। তবে হ্যাকিং আর ক্র্যাকিংয়ের মধ্যে যে পার্থক্য, সেটাও বুঝতে হবে। সব দেশে সব ক্ষেত্রে হ্যাকিং অপরাধ নয়। কম্পিউটারের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে হ্যাকিং অনেকক্ষেত্রেই প্রচলিত একটি পরীক্ষণ পদ্ধতি। আর যদি এই হ্যাকিং হয় অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে (যেমন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে অর্থ চুরি করা) তখন সেটি হয়ে যায় ক্র্যাকিং। ক্র্যাকিং ১০০ শতাংশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। হ্যাকিং ক্ষেত্রবিশেষে অপরাধ হতে পারে, তার বেশি কিছু নয়। শাহী মীর্জারা যা করেছে, সেটি হ্যাকিং। নিজের দক্ষতা প্রকাশের বাইরে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে কাজ করেনি। এর আগেও তারা অনেক ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করেছে, তখন তাদের ধরা হয়নি বা ধরা সম্ভব হয়নি।
পুরো ঘটনায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তার দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। কীভাবে ওয়েবসাইটগুলোতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে তা যে খতিয়ে দেখার সময় এসেছে, এ ঘটনা সেটিও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়েছে সরকারের ই-গভর্নেন্স-সংক্রান্ত নানা রকম প্রকল্পের আওতায়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। যাঁরা একটু খবর রাখেন, তাঁরা জানেন সরকারি বেশ কিছু ওয়েবসাইট অসম্পূর্ণ। এগুলো সচরাচর হালনাগাদ হয় না।
দক্ষ প্রোগ্রামার ছাড়া সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর পক্ষে হ্যাকিং করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা হয়তো এতটাই দুর্বল যে কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান থাকলেও হয়তো সেগুলো হ্যাক করা সম্ভব।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় প্রধান যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো এর নিরাপত্তা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে ওয়েবনির্মাতাকে অসাধারণ মেধার অধিকারী হতে হবে এমনও নয়। বাজারে প্রচুর তৈরি করা নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে। সেগুলো ব্যবহার করা আর নিয়মিত হালনাগাদ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংবাদ সংগ্রহের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের অসংগতি নিয়ে কতৃêপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তথ্য হালানাগাদ হয়নি কেন বা তথ্যশূন্যতা কেন? এ জাতীয় প্রশ্নের কোনো সদুত্তর কখনোই পাওয়া যায়নি।
শাহী মীর্জাদের গুরুতর অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত না করে তারা যে বার্তাটা দিতে চেয়েছে তা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। তারা সাইবার অপরাধ করেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই, কিন্তু তাদের দিয়ে কোনো ওয়েবসাইটের কী কী নিরাপত্তা ত্রুটি আছে তা বের করে ওয়েবসাইটগুলোর জন্য কার্যকর নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এমন উদাহরণ বিশ্বে প্রচুর আছে। ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল নামের একটি কম্পিউটার ভাইরাস বিশ্বব্যাপী অসংখ্য কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ও তথ্যের ক্ষতি করেছিল। এতে আর্থিক ক্ষতিও হয়েছিল। কিন্তু এর নির্মাতা চেন ইং হাওকে গ্রেপ্তার করার পরও শেষ পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয়নি। এখন তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার নিরাপত্তা, যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত।
বাংলাদেশে আমরা এতটা আশা করি না। আমরা চাই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোতে যেন সত্যিকারের নিরাপত্তা থাকে। আর যদি কেউ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দেয়, তবে তাকে দাগি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত না করে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে। স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই যেন তাদের রাখা হয়। আর চেষ্টা করা যেতে পারে তাদের দক্ষতাকে শুভশক্তির কাজে লাগানোর।
মূল লেখার লিংক
গত ভোর পাঁচটার পর থেকে হ্যাকার্স গ্রুপটির সঙ্গে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে নতুন কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকড হল কিনা- তাদের দিক থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রথম আলোতেও এ সংক্রান্ত খবর আসছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় র্যাবের মিডিয়া সেলের প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তারা আজই জানতে পেরেছেন যে, র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। কারা করেছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। কারণ এতে র্যাবের কর্মকাণ্ডে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
আমার মতে, এটা অবশ্যই দায়িত্বহীন উক্তি। সরকারি অন্যান্য সংস্থার তুলনায় র্যাবের ওয়েবসাইটটি তুলনামূলক তথ্যবহুল। তাছাড়া এ ওয়েবসাইটে স্পর্শকাতর নানা তথ্য গ্রহণের ব্যবস্থাও ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, নিজস্ব ওয়েবসাইট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই মর্যাদার প্রতীক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে দাবিতে শাহী মির্জার নেতৃত্বাধীন হ্যাকার্স গ্রুপ সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, সেই দাবিটিও ভাববার মতো। আমি বলবো, বাংলাদেশের আইটি অঙ্গনের জন্য এ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
প্রথম প্রকাশ
অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রথম আলোতেও এ সংক্রান্ত খবর আসছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় র্যাবের মিডিয়া সেলের প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তারা আজই জানতে পেরেছেন যে, র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। কারা করেছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। কারণ এতে র্যাবের কর্মকাণ্ডে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
আমার মতে, এটা অবশ্যই দায়িত্বহীন উক্তি। সরকারি অন্যান্য সংস্থার তুলনায় র্যাবের ওয়েবসাইটটি তুলনামূলক তথ্যবহুল। তাছাড়া এ ওয়েবসাইটে স্পর্শকাতর নানা তথ্য গ্রহণের ব্যবস্থাও ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, নিজস্ব ওয়েবসাইট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই মর্যাদার প্রতীক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে দাবিতে শাহী মির্জার নেতৃত্বাধীন হ্যাকার্স গ্রুপ সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, সেই দাবিটিও ভাববার মতো। আমি বলবো, বাংলাদেশের আইটি অঙ্গনের জন্য এ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
প্রথম প্রকাশ
পরশু ফোন করেছিলেন কয়েকজন। গতকাল সাক্ষাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এক সহকর্মীও। আর আজ এক বন্ধুর ফোন পেয়ে কিছুটা বিস্মিত হই । ক্ষোভ ঝরছে আমার ওপর- বুঝতে পারি টেলিফোনের অপর প্রান্তে থেকেও। সেদিন লন্ডনপ্রবাসী এক অতিচেনা ব্লগার মেসেঞ্জারে বলছিলেন, আপনি একটু সাবধান থাইকেন। আপনার তো আর শত্রুর অভাব নেই।
একুশ বছর বয়সী এক তরুণের পক্ষে আমার গোঁয়ার্তুমি, যা সরাসরি র্যাবের মতো একটি প্রতাপশালী সংস্থার বিরুদ্ধে যাচ্ছে- এই বিষয়টা আমার শুভাকাঙ্খীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমার পোস্টগুলো দেখে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, আমাকে এমনকি গ্রেপ্তারও বিচিত্র কিছু নয়। কারণ ছদ্মনামে লিখলেও আমার অবস্থান চিহ্নিত করা এ এমন কঠিন কিছু নয়। বরাবরের মতোই আমি সবার সব আশঙ্কা হেসে উড়িয়ে দেই। যতোক্ষণ শ্বাস, ততোক্ষণ আঁশ- আমি লিখবোই। 'আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে!'
মন খারাপের মেঘ
এর মধ্যে মন খারাপ হওয়ার মতো কিছু ব্যাপার দেখলাম ব্লগে, কারো কারো পোস্টে। আরিফ জেবতিক এবং আরো কেউ কেউ খুব আপত্তিকর একটা কাজ করে ফেলেছেন। শাহী মির্জার পক্ষে অশ্রু ফেলতে গিয়ে তারা দুঃখজনকভাবে একুশ বছরের তরুণটিকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ফেলেছেন।
জেবতিকের পোস্টটি এসেছিল গতকাল। পড়ে তখনই আমার মনে একটু দ্বিধার জন্ম হল। তার পোস্টের মূল সুর- শাহী মির্জা অপরাধী। হাস্যকরভাবে তিনি পোস্টে আশা প্রকাশ করেছেন, মির্জাকে শাস্তি দিয়ে রাষ্ট্র অনুকম্পা প্রদর্শন করুক।
আমি চোখ রেখে বারবার লক্ষ্য করছিলাম, কেউ না কেউ তার ভুলটুকু ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা কেউ দেননি। সচলায়তনের এক কর্ণধার কাম গৌণ পোস্টারের (!) এক পোস্টের সূত্র ধরে তিনি আবার একটি পোস্ট দিয়েছেন আমারব্লগে। কী অদ্ভূত! সেখানে তিনি আরো উচ্চকন্ঠ। নিশ্চিত হয়ে দাবি করছেন, শাহী মির্জা অপরাধী।
শাহী মির্জাকে কি অপরাধী বলা যায়?
যার বিরুদ্ধে এখনো ভালোমতো অভিযোগই গঠন করা হয়নি, পুলিশী চূড়ান্ত রিপোর্ট তো দূরের কথা। তারপর আছে দীর্ঘ সাক্ষ্য-শুনানির ব্যাপার-স্যাপার। এ সব প্রক্রিয়া শেষে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন অভিযোগ প্রমাণ হওয়া না-হওয়ার বিষয়ে। তর্কের খাতিরে অভিযোগ প্রমাণ হলোই না হয়, তারপরেও আসামির আছে আপিল করার অধিকার। এই সবকিছু তিন মাসেও শেষ হতে পারে, তিন যুগেও হতে পারে।
শাহী মির্জা এখনো অপরাধী নয়, এমনকি আইনের চোখেও নয়। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের পর আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন, মির্জা অপরাধী নাকি নিরাপরাধ। তার আগ পর্যন্ত তাকে সন্দেহ করা যাবে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা যাবে, কিন্তু তাকে অপরাধী বলা যাবে না। প্রথম আলোর প্রতিবেদন যারা পড়েছেন, তারা লক্ষ্য করবেন, সেখানে শাহী মির্জা ও তার বন্ধুদের হ্যাকার হিসেবে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে 'হ্যাকিংয়ে জড়িত সন্দেহে'। সাংবাদিকতার নীতিমালায় বিচারের আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আসলে কোনো নীতিমালাতেই যায় না।
বিচারের আগে অবিচার!
কারো বোঝার ভুলে হোক, আর সজ্ঞানে হোক, বিচারের আগেই অপরাধী সাব্যস্ত করে, কল্পিত শাস্তিশেষে আগবাড়িয়ে রাষ্ট্রের অনুকম্পা চেয়ে, সম্ভাবনাময় তরুণটির ওপর যে অবিচার করা হচ্ছে- তা কি বুঝতে পারছেন কেউ?
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
একুশ বছর বয়সী এক তরুণের পক্ষে আমার গোঁয়ার্তুমি, যা সরাসরি র্যাবের মতো একটি প্রতাপশালী সংস্থার বিরুদ্ধে যাচ্ছে- এই বিষয়টা আমার শুভাকাঙ্খীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমার পোস্টগুলো দেখে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, আমাকে এমনকি গ্রেপ্তারও বিচিত্র কিছু নয়। কারণ ছদ্মনামে লিখলেও আমার অবস্থান চিহ্নিত করা এ এমন কঠিন কিছু নয়। বরাবরের মতোই আমি সবার সব আশঙ্কা হেসে উড়িয়ে দেই। যতোক্ষণ শ্বাস, ততোক্ষণ আঁশ- আমি লিখবোই। 'আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে!'
মন খারাপের মেঘ
এর মধ্যে মন খারাপ হওয়ার মতো কিছু ব্যাপার দেখলাম ব্লগে, কারো কারো পোস্টে। আরিফ জেবতিক এবং আরো কেউ কেউ খুব আপত্তিকর একটা কাজ করে ফেলেছেন। শাহী মির্জার পক্ষে অশ্রু ফেলতে গিয়ে তারা দুঃখজনকভাবে একুশ বছরের তরুণটিকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ফেলেছেন।
জেবতিকের পোস্টটি এসেছিল গতকাল। পড়ে তখনই আমার মনে একটু দ্বিধার জন্ম হল। তার পোস্টের মূল সুর- শাহী মির্জা অপরাধী। হাস্যকরভাবে তিনি পোস্টে আশা প্রকাশ করেছেন, মির্জাকে শাস্তি দিয়ে রাষ্ট্র অনুকম্পা প্রদর্শন করুক।
আমি চোখ রেখে বারবার লক্ষ্য করছিলাম, কেউ না কেউ তার ভুলটুকু ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা কেউ দেননি। সচলায়তনের এক কর্ণধার কাম গৌণ পোস্টারের (!) এক পোস্টের সূত্র ধরে তিনি আবার একটি পোস্ট দিয়েছেন আমারব্লগে। কী অদ্ভূত! সেখানে তিনি আরো উচ্চকন্ঠ। নিশ্চিত হয়ে দাবি করছেন, শাহী মির্জা অপরাধী।
শাহী মির্জাকে কি অপরাধী বলা যায়?
যার বিরুদ্ধে এখনো ভালোমতো অভিযোগই গঠন করা হয়নি, পুলিশী চূড়ান্ত রিপোর্ট তো দূরের কথা। তারপর আছে দীর্ঘ সাক্ষ্য-শুনানির ব্যাপার-স্যাপার। এ সব প্রক্রিয়া শেষে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন অভিযোগ প্রমাণ হওয়া না-হওয়ার বিষয়ে। তর্কের খাতিরে অভিযোগ প্রমাণ হলোই না হয়, তারপরেও আসামির আছে আপিল করার অধিকার। এই সবকিছু তিন মাসেও শেষ হতে পারে, তিন যুগেও হতে পারে।
শাহী মির্জা এখনো অপরাধী নয়, এমনকি আইনের চোখেও নয়। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের পর আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন, মির্জা অপরাধী নাকি নিরাপরাধ। তার আগ পর্যন্ত তাকে সন্দেহ করা যাবে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা যাবে, কিন্তু তাকে অপরাধী বলা যাবে না। প্রথম আলোর প্রতিবেদন যারা পড়েছেন, তারা লক্ষ্য করবেন, সেখানে শাহী মির্জা ও তার বন্ধুদের হ্যাকার হিসেবে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে 'হ্যাকিংয়ে জড়িত সন্দেহে'। সাংবাদিকতার নীতিমালায় বিচারের আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আসলে কোনো নীতিমালাতেই যায় না।
বিচারের আগে অবিচার!
কারো বোঝার ভুলে হোক, আর সজ্ঞানে হোক, বিচারের আগেই অপরাধী সাব্যস্ত করে, কল্পিত শাস্তিশেষে আগবাড়িয়ে রাষ্ট্রের অনুকম্পা চেয়ে, সম্ভাবনাময় তরুণটির ওপর যে অবিচার করা হচ্ছে- তা কি বুঝতে পারছেন কেউ?
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
নয় দিনের মাথায় আবার র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাকড হল। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় দফা হ্যাকিংয়ের শিকার হল র্যাবের ওয়েবসাইট। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তা-দুর্বলতা যে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে- এ ঘটনার পর আর হিসেব করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
র্যাব গতবারের মতো বোকামি এবার আর করেনি। হ্যাকিংয়ের পরপরই দ্রুত নিজেদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এবার আমরা আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ্য রাখছি, র্যাব গোয়েন্দা আর তাদের আইটি উইং কতোটা বুদ্ধিমান? কতো দ্রুত তাদের সাইট উদ্ধার করতে পারে একটু দেখি!
গতবারের হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর র্যাবের স্পর্শকাতর ডাটাবেজটি পুনরুদ্ধার করা হয় কোনোমতে। তবে এই দফা হ্যাকিংয়ের পর ডাটাবেজটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটের সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে দেওয়া আমার পোস্টেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে, শাহী মির্জার গ্রেপ্তারের ঘটনায় হ্যাকাররা দমে যাবে, হ্যাকিং বন্ধ হয়ে যাবে- এটা ভাবা ঠিক হবে না। আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটগুলোতে এ ঘটনা ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছে। বিদেশের অনেক হ্যাকারই এ ঘটনা সবিস্তারে জেনেছে। অনলাইন ডিসকাশনে কোনো কোনো বিদেশী হ্যাকারের অংশগ্রহণ থেকে এটা বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সাইট নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ডাকসাইটে বিদেশী হ্যাকাররা যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে হামলা চালায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সংক্ষিপ্ত হ্যাকপঞ্জি
১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ : র্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ : র্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ : র্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
র্যাব গতবারের মতো বোকামি এবার আর করেনি। হ্যাকিংয়ের পরপরই দ্রুত নিজেদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এবার আমরা আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ্য রাখছি, র্যাব গোয়েন্দা আর তাদের আইটি উইং কতোটা বুদ্ধিমান? কতো দ্রুত তাদের সাইট উদ্ধার করতে পারে একটু দেখি!
গতবারের হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর র্যাবের স্পর্শকাতর ডাটাবেজটি পুনরুদ্ধার করা হয় কোনোমতে। তবে এই দফা হ্যাকিংয়ের পর ডাটাবেজটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটের সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে দেওয়া আমার পোস্টেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে, শাহী মির্জার গ্রেপ্তারের ঘটনায় হ্যাকাররা দমে যাবে, হ্যাকিং বন্ধ হয়ে যাবে- এটা ভাবা ঠিক হবে না। আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটগুলোতে এ ঘটনা ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছে। বিদেশের অনেক হ্যাকারই এ ঘটনা সবিস্তারে জেনেছে। অনলাইন ডিসকাশনে কোনো কোনো বিদেশী হ্যাকারের অংশগ্রহণ থেকে এটা বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সাইট নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ডাকসাইটে বিদেশী হ্যাকাররা যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে হামলা চালায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সংক্ষিপ্ত হ্যাকপঞ্জি
১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ : র্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ : র্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ : র্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
রুদ্বশ্বাস নানা ঘটনার পর শাহী মির্জা গ্রেপ্তার হল। গত ডিসেম্বরে নিজেদের ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার পরও র্যাব সেই ঘটনা বেমালুম চেপে গিয়েছিল। কিন্তু এবার, দ্বিতীয় দফা হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর, চেপে যাওয়া আর সম্ভব হয়নি। ঘটনা সম্পর্কে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সংবাদ ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে আগেই। ব্লগের যে শক্তি কিংবা প্রভাব- এ ঘটনা থেকে তারও খানিকটা আঁচ পাওয়া গেল। র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি সর্বপ্রথম এসেছে সামহোয়্যারইন ও আমারব্লগে, ঘটনার পরপরই। আমার জানামতে, ব্লগের সূত্র ধরেই বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর সংবাদটি পরিবেশন করে। পরে অন্যান্য পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু বিষয়ে ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি-
হ্যাকার কেন ধরা পড়ল?
সাইবার অপরাধ দমন আইনের অসংলগ্নতা নিয়ে বাংলাদেশে নিশ্চয়ই কখনো মিছিল হবে না, শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই কখনো বিবৃতি দেবেন না- একথা কে না জানেন! এই যখন অবস্থা, এই যখন বাংলাদেশের চিরপরিচিত দৃশ্য- প্রযুক্তি অনুরাগী তরুণরা তখন এগিয়ে এসেছে তাদের দাবি নিয়ে। তারা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। র্যাবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাকের মতো পথ না ধরে তারা আর কিভাবে এ দাবি জানাতে পারতো? মিছিল থেকে একটি ঢিল ছোঁড়া হবে না- তা কি কল্পনা করা যায়? শাহী মির্জা তার একলা মিছিল থেকে একটি ঢিল ছুঁড়ে জানান দিতে চেয়েছে তার দাবির কথা।
সে অর্থে পুরো ঘটনায় র্যাবের তেমন কোনো কৃতিত্ব নেই। তাহলে শাহী মির্জা কেন ধরা পড়ল? উত্তরটি আসলে সহজ- সে ধরা পড়তে চেয়েছে।
মির্জা কি অপরাধী?
শাহী মির্জাকে অপরাধী ভাবাটা ভুল হবে। এ ঘটনা থেকে আর্থিকভাবে সে লাভবান হয়নি। সেরকম কোনো ইচ্ছাও তার ছিল না। চাইলে সে র্যাবের ওয়েবসাইটে পর্নো আপলোড করে দিতে পারতো। কিন্তু মির্জা সেটি করেনি। তার একটি দাবি ছিল। সে দাবির কথাই সে জানান দিতে চেয়েছে।
র্যাবের দায়দায়িত্ব
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে যে ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা- একুশ বছর বয়সী শাহী মির্জা সেটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কানেক্টবিডি নামের যে প্রতিষ্ঠান র্যাবের ওয়েবসাইট দেখাশোনার জন্য প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে হাপিস করে দিচ্ছে, বিনিময়ে তারা কী নিরাপত্তা দিচ্ছে, তার নমুনা তো আমরা দেখলামই শাহী মির্জার কল্যাণে। এ ঘটনায় শাস্তি হলে হওয়া উচিত কানেক্টবিডির, হওয়া উচিত র্যাবের আইটি উইংয়ের নির্বোধ কর্মকর্তাদের।
জনগণের স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে ইন্টারনেটের বিপজ্জনক সমুদ্রে ছিনিমিনি খেলার জন্য র্যাবের উচিত- জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা।
র্যাব তাদের ওয়েবসাইটে এখনো ডাটাবেজ পুনঃস্থাপন করতে পারেনি। শাহী মির্জা গ্রেপ্তার হওয়ার পরও গুরুত্বপূর্ণ ডাটাবেজটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
হ্যাকাররা কি তাহলে দমে যাবে?
এ ঘটনায় হ্যাকাররা দমে যাবে, হ্যাকিং বন্ধ হয়ে যাবে- এটা ভাবা ঠিক হবে না।
আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটগুলোতে এ ঘটনা ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছে। বিদেশের অনেক হ্যাকারই এ ঘটনা সবিস্তারে জেনেছে। অনলাইন ডিসকাশনে কোনো কোনো বিদেশী হ্যাকারের অংশগ্রহণ থেকে এটা বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সাইট নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ডাকসাইটে বিদেশী হ্যাকাররা যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে হামলা চালায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আমরা আছি তোমার পাশে
শাহী মির্জা, আমরা আছি তোমার পাশে। একুশ বছর বয়সী এই অমিত সম্ভাবনাময় তরুণের মুক্তির জন্য এগিয়ে আসুন সকলেই।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
হ্যাকার কেন ধরা পড়ল?
সাইবার অপরাধ দমন আইনের অসংলগ্নতা নিয়ে বাংলাদেশে নিশ্চয়ই কখনো মিছিল হবে না, শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই কখনো বিবৃতি দেবেন না- একথা কে না জানেন! এই যখন অবস্থা, এই যখন বাংলাদেশের চিরপরিচিত দৃশ্য- প্রযুক্তি অনুরাগী তরুণরা তখন এগিয়ে এসেছে তাদের দাবি নিয়ে। তারা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। র্যাবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাকের মতো পথ না ধরে তারা আর কিভাবে এ দাবি জানাতে পারতো? মিছিল থেকে একটি ঢিল ছোঁড়া হবে না- তা কি কল্পনা করা যায়? শাহী মির্জা তার একলা মিছিল থেকে একটি ঢিল ছুঁড়ে জানান দিতে চেয়েছে তার দাবির কথা।
সে অর্থে পুরো ঘটনায় র্যাবের তেমন কোনো কৃতিত্ব নেই। তাহলে শাহী মির্জা কেন ধরা পড়ল? উত্তরটি আসলে সহজ- সে ধরা পড়তে চেয়েছে।
মির্জা কি অপরাধী?
শাহী মির্জাকে অপরাধী ভাবাটা ভুল হবে। এ ঘটনা থেকে আর্থিকভাবে সে লাভবান হয়নি। সেরকম কোনো ইচ্ছাও তার ছিল না। চাইলে সে র্যাবের ওয়েবসাইটে পর্নো আপলোড করে দিতে পারতো। কিন্তু মির্জা সেটি করেনি। তার একটি দাবি ছিল। সে দাবির কথাই সে জানান দিতে চেয়েছে।
র্যাবের দায়দায়িত্ব
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে যে ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা- একুশ বছর বয়সী শাহী মির্জা সেটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কানেক্টবিডি নামের যে প্রতিষ্ঠান র্যাবের ওয়েবসাইট দেখাশোনার জন্য প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে হাপিস করে দিচ্ছে, বিনিময়ে তারা কী নিরাপত্তা দিচ্ছে, তার নমুনা তো আমরা দেখলামই শাহী মির্জার কল্যাণে। এ ঘটনায় শাস্তি হলে হওয়া উচিত কানেক্টবিডির, হওয়া উচিত র্যাবের আইটি উইংয়ের নির্বোধ কর্মকর্তাদের।
জনগণের স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে ইন্টারনেটের বিপজ্জনক সমুদ্রে ছিনিমিনি খেলার জন্য র্যাবের উচিত- জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা।
র্যাব তাদের ওয়েবসাইটে এখনো ডাটাবেজ পুনঃস্থাপন করতে পারেনি। শাহী মির্জা গ্রেপ্তার হওয়ার পরও গুরুত্বপূর্ণ ডাটাবেজটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
হ্যাকাররা কি তাহলে দমে যাবে?
এ ঘটনায় হ্যাকাররা দমে যাবে, হ্যাকিং বন্ধ হয়ে যাবে- এটা ভাবা ঠিক হবে না।
আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটগুলোতে এ ঘটনা ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছে। বিদেশের অনেক হ্যাকারই এ ঘটনা সবিস্তারে জেনেছে। অনলাইন ডিসকাশনে কোনো কোনো বিদেশী হ্যাকারের অংশগ্রহণ থেকে এটা বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সাইট নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ডাকসাইটে বিদেশী হ্যাকাররা যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে হামলা চালায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আমরা আছি তোমার পাশে
শাহী মির্জা, আমরা আছি তোমার পাশে। একুশ বছর বয়সী এই অমিত সম্ভাবনাময় তরুণের মুক্তির জন্য এগিয়ে আসুন সকলেই।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ে জড়িত সন্দেহে চার তরুণ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন থাকলেও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট ও তথ্যব্যাংক সুরক্ষিত নয়। হাতেনাতে তা দেখিয়ে দিলেন কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমাপড়ুয়া তরুণ শাহী মির্জা। ২১ বছরের এ তরুণ গত দেড় বছরে বিভিন্ন নামীদামি প্রতিষ্ঠানের ৫০টির বেশি ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন (হ্যাক করেছেন)।
সর্বশেষ শাহী মির্জা র্যাবের ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ভেঙে গত শনিবার রাতে তিন সহযোগীসহ মিরপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন সৈয়দ মো· ইসতিয়াক, জায়েদুল হোসেন ও তাওহিদুল ইসলাম। এঁরা সবাই মিরপুর-২-এর সায়েক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ চার তরুণের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৫ ও ৫৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড বা তিন লাখ থেকে এক কোটি টাকা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
সাধারণভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে অন্যের ওয়েবসাইট বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করাকে হ্যাকিং বলে। দেশের প্রচলিত আইনে কম্পিউটারের সোর্সকোড ভাঙা ও হ্যাকিং করা অপরাধ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা এ ধরনের অপরাধের নাম ‘সাইবার অপরাধ’।
র্যাবের মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, দেশে এই প্রথম কোনো ‘সাইবার অপরাধী’কে গ্রেপ্তার করা হলো। তিনি নিজেকে র্যাবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করলেও ওয়েবসাইটে হামলার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে র্যাব তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিন সহযোগীসহ শাহী মির্জাকে গতকাল দুপুরে র্যাব তাদের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে। র্যাবের যোগাযোগ শাখার পরিচালক কমান্ডার মাঈনুল হক জানান, র্যাবের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটটি গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টা ২০ মিনিটের দিকে হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়। তবে তাঁরা এ ঘটনা জানতে পারেন শুক্রবার রাতে। এরপর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। শনিবার রাতে মিরপুর-১ নম্বরের এফ ব্লকের ১ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। শাহী মির্জা হ্যাকিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।
তবে একটি সূত্র জানায়, একটি ব্লগ থেকে শাহী মির্জার ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য জানতে পারে র্যাব।
সাংবাদিকদের সামনেও শাহী মির্জা বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, সাইটগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা যে কত দুর্বল, সেটা দেখাতেই হ্যাক করা হয়েছে। এতে তিনি নিজে আর্থিক বা অন্য কোনোভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেননি।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে শাহী মির্জা জানান, তাঁর পুরো নাম আবু মুসা মির্জা কামরুজ্জামান শাহী। সংক্ষেপে তিনি শাহী মির্জা নাম ব্যবহার করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আর ছোট ভাই সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। বাবা মুবাশ্বের আলী মির্জা পুলিশের উপপরিদর্শক। সিলেটের একটি থানায় তিনি কর্মরত। তাঁদের আদি বাস সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়। ২০০৩ সালে তিনি সিলেটের ব্লুবার্ড হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০৬ সালে তিনি ঢাকায় সায়েক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। তিন বন্ধুসহ থাকেন মিরপুর-১ নম্বরের একটি মেসে। তাঁরা একই ইনস্টিটিউটে পড়েন।
হ্যাকিংয়ের নেশা কী করে হলো-জানতে চাইলে শাহী জানান, পত্রিকা পড়ে ও ব্লগ দেখে তিনি এ ব্যাপারে আগ্রহী হন। তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি তাঁর আগে থেকেই প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। পিএইচপি ও লিনাক্স অপারেটিং পদ্ধতিও রপ্ত করেন তিনি। শুরুতে মজা করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত কিছু সাইট হ্যাকিং করতেন। এতে সফল হলে ‘সাইবার ডার্ক হিমু’ ছদ্ম নামে তিনি ইন্টারনেটে একটি ভাইরাস ছাড়েন। শাহী জানান, কিছুদিন পর বিদেশ থেকে এক হ্যাকার নিজকে সাইবার ডার্ক হিমু বলে দাবি করে। ওই হ্যাকার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করতে শুরু করে। এরপর তিনি শাহী মির্জা নাম দিয়ে হ্যাকিং করেন। গত দেড় বছরে তিনি ৫০টির বেশি সাইট হ্যাকিং করেছেন বলে জানান।
শাহী জানান, তুরস্কের হ্যাকাররা প্রথমে নিজের দেশের সাইটগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। পরে অন্য দেশের সাইটে আক্রমণ করে। তুরস্কের পথ অনুসরণ করতে গিয়ে তিনি দেখতে পান, বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা খুব দুর্বল। এসব দুর্বলতা ঠিক করতে ছয় মাস আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওয়েব হোস্টিং অ্যাডমিনের সাইট এসআইসিটিতে মেইল করে দুর্বলতার কথা জানান। কিন্তু সরকার বিষয়টি কানে তোলেনি।
শাহী প্রথম আলোকে জানান, সাইটগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে হ্যাকিং করেন। তাই সাইটগুলোর ভেতরের পাতাগুলো ঠিক রেখে শুধু প্রথম পাতা ওলট-পালট করে দিতেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিভিন্ন বাহিনী, সংস্থা ও ব্যক্তিগত কোম্পানির ২২টির বেশি সাইট মাত্র ছয় মাসে আক্রমণ করেন তিনি।
র্যাবের সাইটে হামলার ব্যাপারে তিনি জানান, এতে ঢুকতে তাঁর ১১ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সাইটগুলোর দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, দেশে যাঁরা সাইট তৈরি করেন তাঁরা যে প্যাকেজ সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তার বেশির ভাগই নকল বা পাইরেটেড। মূল সফটওয়্যার এদিক-সেদিক করে তাঁরা প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এতে সব প্রোগ্রাম প্রায় একই রকম হয়ে পড়ে। এসব সাইটের ডোমেইন নেম সিস্টেম (ডিএনএস) ও ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল (এফটিপি) খুবই দুর্বল। এদিকে নজর না দিলে যে কেউ এসব সাইট ধ্বংস করে দিতে পারবে। সবাইকে সতর্ক করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল দাবি করে তিনি বলেন, এতে যে এত বড় অপরাধ হবে, তা তিনি আগে বুঝে উঠতে পারেননি।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন থাকলেও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট ও তথ্যব্যাংক সুরক্ষিত নয়। হাতেনাতে তা দেখিয়ে দিলেন কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমাপড়ুয়া তরুণ শাহী মির্জা। ২১ বছরের এ তরুণ গত দেড় বছরে বিভিন্ন নামীদামি প্রতিষ্ঠানের ৫০টির বেশি ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন (হ্যাক করেছেন)।
সর্বশেষ শাহী মির্জা র্যাবের ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ভেঙে গত শনিবার রাতে তিন সহযোগীসহ মিরপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন সৈয়দ মো· ইসতিয়াক, জায়েদুল হোসেন ও তাওহিদুল ইসলাম। এঁরা সবাই মিরপুর-২-এর সায়েক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ চার তরুণের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৫ ও ৫৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড বা তিন লাখ থেকে এক কোটি টাকা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
সাধারণভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে অন্যের ওয়েবসাইট বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করাকে হ্যাকিং বলে। দেশের প্রচলিত আইনে কম্পিউটারের সোর্সকোড ভাঙা ও হ্যাকিং করা অপরাধ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা এ ধরনের অপরাধের নাম ‘সাইবার অপরাধ’।
র্যাবের মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, দেশে এই প্রথম কোনো ‘সাইবার অপরাধী’কে গ্রেপ্তার করা হলো। তিনি নিজেকে র্যাবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করলেও ওয়েবসাইটে হামলার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে র্যাব তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিন সহযোগীসহ শাহী মির্জাকে গতকাল দুপুরে র্যাব তাদের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে। র্যাবের যোগাযোগ শাখার পরিচালক কমান্ডার মাঈনুল হক জানান, র্যাবের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটটি গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টা ২০ মিনিটের দিকে হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়। তবে তাঁরা এ ঘটনা জানতে পারেন শুক্রবার রাতে। এরপর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। শনিবার রাতে মিরপুর-১ নম্বরের এফ ব্লকের ১ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। শাহী মির্জা হ্যাকিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।
তবে একটি সূত্র জানায়, একটি ব্লগ থেকে শাহী মির্জার ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য জানতে পারে র্যাব।
সাংবাদিকদের সামনেও শাহী মির্জা বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, সাইটগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা যে কত দুর্বল, সেটা দেখাতেই হ্যাক করা হয়েছে। এতে তিনি নিজে আর্থিক বা অন্য কোনোভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেননি।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে শাহী মির্জা জানান, তাঁর পুরো নাম আবু মুসা মির্জা কামরুজ্জামান শাহী। সংক্ষেপে তিনি শাহী মির্জা নাম ব্যবহার করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আর ছোট ভাই সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। বাবা মুবাশ্বের আলী মির্জা পুলিশের উপপরিদর্শক। সিলেটের একটি থানায় তিনি কর্মরত। তাঁদের আদি বাস সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়। ২০০৩ সালে তিনি সিলেটের ব্লুবার্ড হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০৬ সালে তিনি ঢাকায় সায়েক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। তিন বন্ধুসহ থাকেন মিরপুর-১ নম্বরের একটি মেসে। তাঁরা একই ইনস্টিটিউটে পড়েন।
হ্যাকিংয়ের নেশা কী করে হলো-জানতে চাইলে শাহী জানান, পত্রিকা পড়ে ও ব্লগ দেখে তিনি এ ব্যাপারে আগ্রহী হন। তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি তাঁর আগে থেকেই প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। পিএইচপি ও লিনাক্স অপারেটিং পদ্ধতিও রপ্ত করেন তিনি। শুরুতে মজা করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত কিছু সাইট হ্যাকিং করতেন। এতে সফল হলে ‘সাইবার ডার্ক হিমু’ ছদ্ম নামে তিনি ইন্টারনেটে একটি ভাইরাস ছাড়েন। শাহী জানান, কিছুদিন পর বিদেশ থেকে এক হ্যাকার নিজকে সাইবার ডার্ক হিমু বলে দাবি করে। ওই হ্যাকার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করতে শুরু করে। এরপর তিনি শাহী মির্জা নাম দিয়ে হ্যাকিং করেন। গত দেড় বছরে তিনি ৫০টির বেশি সাইট হ্যাকিং করেছেন বলে জানান।
শাহী জানান, তুরস্কের হ্যাকাররা প্রথমে নিজের দেশের সাইটগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। পরে অন্য দেশের সাইটে আক্রমণ করে। তুরস্কের পথ অনুসরণ করতে গিয়ে তিনি দেখতে পান, বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা খুব দুর্বল। এসব দুর্বলতা ঠিক করতে ছয় মাস আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওয়েব হোস্টিং অ্যাডমিনের সাইট এসআইসিটিতে মেইল করে দুর্বলতার কথা জানান। কিন্তু সরকার বিষয়টি কানে তোলেনি।
শাহী প্রথম আলোকে জানান, সাইটগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে হ্যাকিং করেন। তাই সাইটগুলোর ভেতরের পাতাগুলো ঠিক রেখে শুধু প্রথম পাতা ওলট-পালট করে দিতেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিভিন্ন বাহিনী, সংস্থা ও ব্যক্তিগত কোম্পানির ২২টির বেশি সাইট মাত্র ছয় মাসে আক্রমণ করেন তিনি।
র্যাবের সাইটে হামলার ব্যাপারে তিনি জানান, এতে ঢুকতে তাঁর ১১ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সাইটগুলোর দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, দেশে যাঁরা সাইট তৈরি করেন তাঁরা যে প্যাকেজ সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তার বেশির ভাগই নকল বা পাইরেটেড। মূল সফটওয়্যার এদিক-সেদিক করে তাঁরা প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এতে সব প্রোগ্রাম প্রায় একই রকম হয়ে পড়ে। এসব সাইটের ডোমেইন নেম সিস্টেম (ডিএনএস) ও ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল (এফটিপি) খুবই দুর্বল। এদিকে নজর না দিলে যে কেউ এসব সাইট ধ্বংস করে দিতে পারবে। সবাইকে সতর্ক করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল দাবি করে তিনি বলেন, এতে যে এত বড় অপরাধ হবে, তা তিনি আগে বুঝে উঠতে পারেননি।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ

এইমাত্র র্যাবের ওয়েবসাইট আবার ফিরেছে স্বরূপে। এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময়ের রুদ্ধশ্বাস একটি ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটল। তবে লক্ষ্য করবেন তাদের ওয়েবসাইটে একটি গুরুত্বপূর্ণ এরর মেসেজ আসছে- error in selecting the databaseError : 1049 Unknown database 'rab_db'error in selecting the databaseError : 1049 Unknown database 'rab_db'
------
আপডেট : রাত ২:২০
বাংলাদেশী হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিহত করতে না পেরে র্যাব অবশেষে নিজেদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে। আগের ইনডেক্স পেইজটি এখন আর আসছে না। তার বদলে "ফেইলড টু কানেক্ট" শিরোনামের একটা এরর মেসেজ আসছে। কয়েক ঘন্টা আগের ঘটনা এটি। প্রথম আলোতে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজ] ।

----
প্রথম আলোর খবর
হ্যাকারের আক্রমণে
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট হ্যাকারের আক্রমণের শিকার হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে র্যাবের এ ওয়েবসাইটটি দেখা যাচ্ছে না। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এ ওয়েবসাইটে হ্যাকার নিজেকে শাহী মির্জা দাবি করে লিখেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন না করে সরকার সাইবার অপরাধ দমন আইন করেছে। বিষয়টি র্যাব কর্তৃপক্ষ জানার পর ওয়েবসাইটটি পুনরুদ্ধারের জন্য তা আপাতত বন্ধ দিয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেছেন, কারা এ কাজ করেছে, তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।-নিজস্ব প্রতিবেদক
----
ব্রেকিং নিউজ : RAB এর ওয়েবসাইট হ্যাকড! (আপডেটেড)
আজ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আরো ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে
----
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
এই সারসংক্ষেপটি পাওয়া যাবে না। পোস্ট দেখার জন্য
এখানে ক্লিক করুন ।
শেষবিদায়ের সব দৃশ্যই দুঃখজনক। নিশ্চিত জানি, এ শোক প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। ভাষা নেই জেনেও সমবেদনা প্রকাশ করছি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি। আর মহান আল্লাহপাকের দরবারে মাগফেরাত কামনা করছি।
---
ছবিতে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে কয়েকজন র্যাব সদস্য কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের ওয়েবসাইটটিকে।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
---
ছবিতে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে কয়েকজন র্যাব সদস্য কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের ওয়েবসাইটটিকে।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
সরকারি সংস্থাগুলো ঘুমোচ্ছে। কারণ ওরা দশটা-পাঁচটার বাইরে আর কিছু জানে না। জীবনে আর কিছু শিখে নাই ওরা। কিছুক্ষণ আগে র্যাব এর ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এইমাত্র খবর পেলাম, আজ রাত থেকে কাল সকাল পর্যন্ত আরো বেশকিছু সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
র্যাবের ওয়েবসাইটের হোমপেজে কিছু বানান ভুল নিয়ে অনেকে নানা মন্তব্য করছেন। দুর্বল ভাষারীতির ব্যাপারটা আমিও লক্ষ্য করেছি। আমার সোর্স এইমাত্র জানালেন, এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। হ্যাকাররা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে এভাবে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
র্যাবের ওয়েবসাইটের হোমপেজে কিছু বানান ভুল নিয়ে অনেকে নানা মন্তব্য করছেন। দুর্বল ভাষারীতির ব্যাপারটা আমিও লক্ষ্য করেছি। আমার সোর্স এইমাত্র জানালেন, এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। হ্যাকাররা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে এভাবে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
কিছুক্ষণ আগে রেপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (RAB) ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়েছে। ধারণা করছি, হ্যাকাররা বাংলাদেশী।
হোমপেজে শাহী মির্জা নামে ওই হ্যাকার নিজের পরিচয় তুলে ধরে লিখেছে-
GOVERNMENT DOES NOT TAKE ANY STEP FOR ICT DEVELOPMENT. BUT PASSED A LAW ABOUT ANTI-CYBER CRIME. YOU DOES NOT KNOW WHAT IS THE CYBER SECURITY OR HOW TO PROTECT OWNSELF. LISTEN..HACKERS R NOT CRIMINAL , THEY R 10 TIME BETTER THAN YOUR EXPERT. ............................WE ARE GINIOUS THAN YOU CANT THINK...................................... MAIL: SHAHEEMIRZA [AT] YAHOO.COM
----
আপডেট : শুক্রবার রাত ৩টা
আজ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আরো ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে
---
আপডেট : শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা
গত ভোর পাঁচটার পর থেকে হ্যাকার্স গ্রুপটির সঙ্গে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে নতুন কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকড হল কিনা- তাদের দিক থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রথম আলোতেও এ সংক্রান্ত খবর আসছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় র্যাবের মিডিয়া সেলের প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তারা আজই জানতে পেরেছেন যে, র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। কারা করেছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। কারণ এতে র্যাবের কর্মকাণ্ডে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
আমার মতে, এটা অবশ্যই দায়িত্বহীন উক্তি। সরকারি অন্যান্য সংস্থার তুলনায় র্যাবের ওয়েবসাইটটি তুলনামূলক তথ্যবহুল। তাছাড়া এ ওয়েবসাইটে স্পর্শকাতর নানা তথ্য গ্রহণের ব্যবস্থাও ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, নিজস্ব ওয়েবসাইট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই মর্যাদার প্রতীক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে দাবিতে শাহী মির্জার নেতৃত্বাধীন হ্যাকার্স গ্রুপ সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, সেই দাবিটিও ভাববার মতো। আমি বলবো, বাংলাদেশের আইটি অঙ্গনের জন্য এ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
হোমপেজে শাহী মির্জা নামে ওই হ্যাকার নিজের পরিচয় তুলে ধরে লিখেছে-
GOVERNMENT DOES NOT TAKE ANY STEP FOR ICT DEVELOPMENT. BUT PASSED A LAW ABOUT ANTI-CYBER CRIME. YOU DOES NOT KNOW WHAT IS THE CYBER SECURITY OR HOW TO PROTECT OWNSELF. LISTEN..HACKERS R NOT CRIMINAL , THEY R 10 TIME BETTER THAN YOUR EXPERT. ............................WE ARE GINIOUS THAN YOU CANT THINK...................................... MAIL: SHAHEEMIRZA [AT] YAHOO.COM
----
আপডেট : শুক্রবার রাত ৩টা
আজ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আরো ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে
---
আপডেট : শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা
গত ভোর পাঁচটার পর থেকে হ্যাকার্স গ্রুপটির সঙ্গে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে নতুন কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকড হল কিনা- তাদের দিক থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রথম আলোতেও এ সংক্রান্ত খবর আসছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় র্যাবের মিডিয়া সেলের প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তারা আজই জানতে পেরেছেন যে, র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। কারা করেছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। কারণ এতে র্যাবের কর্মকাণ্ডে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
আমার মতে, এটা অবশ্যই দায়িত্বহীন উক্তি। সরকারি অন্যান্য সংস্থার তুলনায় র্যাবের ওয়েবসাইটটি তুলনামূলক তথ্যবহুল। তাছাড়া এ ওয়েবসাইটে স্পর্শকাতর নানা তথ্য গ্রহণের ব্যবস্থাও ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, নিজস্ব ওয়েবসাইট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই মর্যাদার প্রতীক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে দাবিতে শাহী মির্জার নেতৃত্বাধীন হ্যাকার্স গ্রুপ সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, সেই দাবিটিও ভাববার মতো। আমি বলবো, বাংলাদেশের আইটি অঙ্গনের জন্য এ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ