জন্মদিন-বাণিজ্যে আমার ঐতিহাসিক অবিশ্বাস


আবদুল মোনেম লিমিটেড হঠাৎ করেই একবার উৎসাহী হয়ে উঠল, ইয়ো ইয়ো নামের একটি খেলা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। ওদের কারো কারো মুখে এও শোনা গেল যে, এর মাধ্যমে তারা কিশোর-তরুণদের মাঝে ক্রীড়ানুরাগ ছড়িয়ে দিতে চায়। পরে দেখা গেল, কিসের কী! চায়না কি কোরিয়া থেকে চালানের পর চালান এল ইয়ো ইয়ো নামের অদ্ভূত এক লাঠিমভর্তি। প্রচারের তোড়ে কিশোর-তরুণরা হুমড়ি খেয়ে পড়ল ইয়ো ইয়োতে। রাস্তায় পর্যন্ত হাঁটা যাচ্ছিল না। আড়ালে তখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে গেছে ইয়ো ইয়ো বণিকদের।

জন্মদিন পালনের রেওয়াজটাও অনেকটা সেরকমই মনে হয়। এখনকার কিশোর-তরুণরা যেন বেড়ে উঠছে শুভেচ্ছা-বণিক আর্চিস গ্যালারির ধরনেই। মননে তাদের হলমার্ক, সৃজনশীলতার ছিঁটেফোটা নেই। বুঝে কিংবা না বুঝে, জন্মদিনে-ভালোবাসা দিনে-পরিবেশ দিবসে তাদেরকে ইংরেজি পদ্যের রঙচঙা কার্ড কিনতেই হবে! কোন্ গর্দভের কবে জন্মদিন, ১০ এপ্রিল নাকি ২৩ ফেব্রুয়ারি, স্কুলবালকের ডায়রি ভরে ওঠে তার বৃত্তান্তে। উঠুক!

জন্মদিন-বাণিজ্যে আমার যে ঐতিহাসিক অবিশ্বাস, তাতে এতোটুকু চিঁড় ধরে না।

প্রথম প্রকাশ

Tags:

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply