গুগল যদি বাংলাদেশী কম্পানি হতো, তাহলে যেসব ঘটনা ঘটতো...

গুগল যদি বাংলাদেশী কম্পানি হতো, তাহলে কেমন হতো, কী ঘটতো- সম্প্রতি এ নিয়ে একটু চিন্তাভাবনার উদয় হয়েছিল মাথায়। সেই চিন্তাভাবনাগুলো ব্লগারদের সঙ্গে একটু শেয়ার করলাম।

গুগল হেডকোয়ার্টার
জমির দালালের হাতে দুই দফা প্রতারিত হওয়ার পর গুগলের হেডকোয়ার্টারটি ঢাকার মতিঝিলে স্থাপন করা হতো।

ডায়নামিক লোগো
ইসলামি ভাবধারায় প্রতিনিয়ত উজ্জ্বীবিত হওয়ার ফলে তাদের লোগোতে একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতো।

গুগলের সিইও
সরকারি চাপ ও রাজনৈতিক তদবিরে গুগলের সিইও হতেন ঢাকা ওয়াসার চিফ ইঞ্জিনিয়ার। তবে একইসঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালনে যথারীতি সমস্যার সৃষ্টি হতো। ফলে কার্যত গুগলের প্রশাসনিক কর্মকান্ড দেখভালের দায়িত্ব পড়তো যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কোনো পরিচালকের ঘাড়ে।

হাইকোর্টে রিট
গুগল টক ম্যাসেঞ্জারের ব্যবহার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ নিয়ে হাইকোর্টে বারকয়েক রিট মামলা হতো। এই ফাঁকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যস্ততা কিছুটা বাড়তো।

একমাসের প্যাকেজ
সামান্য ডট বিডি ডোমেইন নেওয়ার জন্য ল্যারি পেইজকে কমপক্ষে একমাসের প্যাকেজ ঠিক করতে হতো। তারপর মগবাজার কেন্দ্রীয় টেলিফোন অফিস ঘুরে ঘুরে জুতা ক্ষয় করতে হতো।

ফুটপাতে উৎপাত
মতিঝিল গুগল অফিসের সামনের ফুটপাতে একটা সার্বক্ষণিক দালাল শ্রেণীর উদ্ভব হতো। এবং এরা সার্চ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তির কথা বলে টুপাইস কামিয়ে নিতো। এছাড়া ঢাকার মোড়ে মোড়ে গুগল অ্যাডসেন্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠতো।

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে
বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গুগল আর্থ ও গুগল ম্যাপসে থেকে বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্যাটেলাইট ডাটা সরিয়ে নেওয়া হতো।

মানসিক পরিবর্তন
বাংলাদেশে থাকতে থাকতে গুগল কর্তৃপক্ষের মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটতো। ফলে যেমন- গুগল অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজনও হয়তো করা হতো।

ইতিবাচক দিক
১. ড. আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদের দুটি বিশ্লেষণমূলক রচনা উৎসবে-পার্বণে গুগল হোমপেজে স্থান পেতো।
২. কবিদের অব্যাহত চাপ ও উৎপাতের কারণে বাধ্য হয়ে "গুগল পোয়েট্রি" নামের একটি সার্ভিস চালু করতে হতো।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
১. গুগলের সাফল্যে জামাত নেতা মীর কাশেম আলী অবধারিতভাবে "ইসলামি সার্চ" নামের একটি ওয়েবসাইট খুলে ফেলতো।
২. তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার গুগল কোডের কপিরাইট নিয়ে জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ লিখতেন।

রাজনৈতিক অঙ্গনে গতিসঞ্চার
১. ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ইউটিউব কিনে নেওয়ার চেষ্টা চালাতেন। অন্যদিকে হাজী সেলিম সময়-অসময়ে গুগল অফিসে ঢুঁ মারতেন ঠিকাদারি কাজ বাগানোর আশায়।
২. মুফতি আমিনীসহ ইসলামী ঐক্য জোটের নেতৃবৃন্দ খামোখা কিছু বিবৃতি দেওয়ার মওকা পেতো।

সরকারি উদ্যোগ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক গুগল অ্যাডসেন্সের ওপর চক্রবৃদ্ধিহারে ভ্যাট বসানো হতো।

উপসংহার
১. একপর্যায়ে মাদারীপুর আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সার্জি ব্রিন।
২. সবশেষে লোকসানের ভারে জর্জরিত হয়ে মতিঝিল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো।

আমীন।

Tags:

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply