কল্পবৈজ্ঞানিক গবেষণা : নারী ও পুরুষের মস্তিষ্ক

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

নারী ও পুরুষের মস্তিষ্ক নিয়ে এ পর্যন্ত গবেষণা কম হয়নি। বলা হয়ে থাকে মানুষের মস্তিষ্কে মোট ১১ বিলিয়ন স্নায়ুকোষ থাকে। বক্ষমান গবেষণায় কল্পবৈজ্ঞানিক নীতিমালা অনুসারে কোষগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবে উপ-ভাগগুলো চিত্রে দেখা যাবে না, দেখতে হলে চিত্রটি জুম করে নিতে হবে।

গঠনবৈচিত্র্য
মেয়েদের মস্তিষ্কের গঠনপ্রণালী অত্যন্ত জটিল, বৈচিত্র্যময়ও বটে। আয়তনে যদিও ছেলেদের তুলনায় কিছুটা ছোট, তবে কোষবৈচিত্র্যের এমন সমাহার অভূতপূর্ব। ছেলেদের মস্তিষ্ক মেয়েদের পুরো উল্টো। আয়তন যেমন বড়ো, কোষও তেমনি বেশি। কিন্তু বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। ছেলেদের মস্তিষ্কের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে প্রেম (ভালোবাসা নয়), প্রেমালাপ আর প্রেমিকা বিষয়ক কোষের প্রাধান্য।

বাংলাদেশি মস্তিষ্ক
আচমকা দুর্ঘটনায় বিকল হয়ে গেল এক বিদেশীর মস্তিষ্ক। পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেন মস্তিষ্ক পরিবর্তন করা ছাড়া উপায় নেই। রোগীর স্বজনরা—তড়িঘড়ি সেকেন্ডহ্যান্ড মস্তিষ্ক কিনতে ছুটলেন বিপণি বিতানে। নানান দেশের নানান বয়সী মানুষের মস্তিষ্ক সারি সারি সাজানো, নিচে মূল্য লেখা—ফিক্সড প্রাইস। ঘুরেফিরে সন্তুষ্ট তারা। শুধু একটি ব্যাপার ভীষণ বিস্মিত করল তাদের—জাপানি মস্তিষ্ক এতো সস্তা আর বাংলাদেশি মস্তিষ্কইবা কেন এতো দামি? জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা বিবেচনায় নিলে বরং উল্টোটাই তো হওয়ার কথা! রহস্য ভাঙলেন বিক্রেতা—জাপানের মস্তিষ্ক আসলে এতো বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যে সেটা কিনে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম, অন্যদিকে বাংলাদেশি মস্তিষ্ক মাত্রেই আনকোরা—সাধারণত ব্যবহার হয় না বললেই চলে, কাজেই জাপানের চেয়ে বাংলাদেশি মস্তিষ্কের মূল্য তো বেশি হবেই!


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

Tags: , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply