বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা কিছু অস্ত্র ইতিমধ্যে তারা সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে জমা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর বলা হচ্ছে, বিদ্রোহীরা তাদের সব অস্ত্রই জমা দিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, সেই সকালে পুরো অস্ত্রাগারই লুট হয়েছিল। এ থেকে এটা নিশ্চিত যে, এখনো বিদ্রোহীদের কাছে প্রচুর অস্ত্র রয়ে গেছে। এটি একটি বড়ো বিপদ। তবে সবচেয়ে বড়ো বিপদটি হল, পুরো রাইফেলসের চেইন অফ কমাণ্ড সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সারা দেশেই একই অবস্থা। বিদ্রোহীদের চাপে ইতিমধ্যে ক্লার্ক পর্যায় থেকে ওঠে আসা একজন ডিএডি তৌহিদকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নিযুক্ত করার ঘটনায় তা কিছুটা আঁচ করা যায়।
এছাড়া দরবার হলে সকালের সেই ঘটনার পর এ পর্যন্ত ঠিক কতোজন সেনা কর্মকর্তা পিলখানার ভেতরে নিহত হয়েছেন, তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। বিদ্রোহের এই সময়টাতে আরো কী কী অনাচার সদর দপ্তরের ভেতরে ঘটেছে, তা জানতেও সময় লাগবে।
ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী চেয়েছিল, সময়ক্ষেপণ করে বিদ্রোহীদের মনোবল ক্রমশ দুর্বল করে ফেলা। এ কৌশল যে সফল হয়েছে, তা বোঝা গেছে, মাত্র কিছুক্ষণ আগে পিলখানার সদর দপ্তর থেকে কিছু বিডিআর সদস্যের পলায়নের ঘটনায়। যদিও তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছেন, যুদ্ধ প্রকাশ্যে হতে পারে। আবার লোকচক্ষুর অন্তরালেও হতে পারে। তবে তারা বলছেন, যুদ্ধ অনিবার্য। মিরাকল কিছু না ঘটলে এ থেকে পিছিয়ে আসার কোনো পথ নেই। তাই সম্ভবত খুব শীঘ্রই আমরা একটি যুদ্ধ দেখতে যাচ্ছি।
বি.দ্র. : কৌতূহল দমন করে পিলখানার আশপাশ থেকে লোকজনের সরে আসা উচিত এখনই। ব্লগারদের কেউ থাকলে বা তাদের পরিবার-পরিজন থাকলে তাদের দ্রুত সরে আসতে বলি।
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): bdr mutiny, bangladesh rifles revolt, bangladesh rifles, bdr mutiny day ;
প্রথম প্রকাশ
0 মন্তব্য