গবেষণা জরিপ : বাংলা সিনেমার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন] 
এফডিসিতে নির্মিত বাংলা সিনেমার জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। পা-চালিত অযান্ত্রিক যানবাহনের চালকেরা বরাবরের মতোই এখনো বাংলা সিনেমার প্রধান দর্শক হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছেন। সংখ্যায় কম হলেও সাম্প্রতিককালে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন গৃহকর্মীরাও। বেশির ভাগ সিনেমাই যেহেতু মোটের ওপর নায়ক-নায়িকাদের বিবাহকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তৈরি হয়ে থাকে, সেদিক থেকে কাজি অফিস এবং ঘটকসমাজের প্রচ্ছন্ন সমর্থনও পাচ্ছেন সিনেমা নির্মাতারা।
বাংলা সিনেমায় পুঁজি বিনিয়োগ নিয়ে সরাসরি কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও সিনেমা-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিখিল বাংলা রিকশাচালক সমিতি এবং কাজের বুয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনই দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সিনেমায় পুঁজি বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, পুঁজিই শুধু নয়, পরিচালকও ওই দুই সমিতি থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। গবেষণাকালে সিনেমার কাহিনি বিশ্লেষণ করেও এই দাবির সত্যতা মিলেছে। 
সার্বিকভাবে অনেক দর্শক রক্তপাতের দৃশ্যে রঙের ব্যবহার যথাযথ হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গবেষণাকালে দেখা গেছে, ভিলেন গান গাওয়ার সময় নায়িকাকে জোর করে নাচানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ ধরনের ঘটনাকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দর্শকদের অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন।
টানাহেঁচড়ার দৃশ্যে কোনো কোনো ভিলেনের আচরণেও নায়িকাদের মধ্যে মৃদু অসন্তোষ লক্ষ করা গেছে। পক্ষান্তরে, ছবির
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
শেষ দিকে আকস্মিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নায়ককে হাসপাতালে নেওয়ার প্রবণতা অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। কোনো ছবিতেই অবশ্য রক্তের গ্রুপ নিয়ে সমস্যা লক্ষ করা যায়নি, তা যতই বিরল গ্রুপ হোক না কেন।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সিনেমার কাহিনিতে জনপ্রিয়তার বিচারে ‘না না এ হতে পারে না’ সংলাপটি এগিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে র্যাব আসার পর থেকে ‘ছেড়ে দে শয়তান, ছেড়ে দে, তুই আমার দেহ পাবি মন পাবি না’ সংলাপটির জনপ্রিয়তার মাত্রা কিছুটা নেমেছে। 
 

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল : ১৭-০১-২০১১

Tags: , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply