আগামী দিনে অ্যাপলের যেসব যুগান্তকারী পণ্য মিস করবেন স্টিভ জবস

অ্যাপলের সাফল্যের মূলে ছিলেন স্টিভ জবস। আইপড থেকে আইফোন, আইম্যাক থেকে আইপ্যাড, আইওএস থেকে আইটিউনস―সবখানেই ছিল তাঁর যাদুকরী হাতের ছোঁয়া। স্টিভ জবস আর নেই বটে, তবে হাতে গড়া অ্যাপল নিশ্চয়ই থেমে থাকবে না। আগামী দিনগুলোতে অ্যাপল নিশ্চয়ই হাজির হবে নতুন নতুন সব পণ্য নিয়ে। কেমন হতে পারে তার রূপ?

আই ফ্রিজ
কর্মব্যস্ত মানুষের প্রতিটি সেকেন্ডই মূল্যবান। তাদের দিকে ল্য রেখে অ্যাপলের এই যুগান্তকারী পণ্য ঘরে-বাইরে সবখানে দেয় অনাবিল প্রশান্তির নিশ্চয়তা। বাসাবাড়িতে ঢাউস আকারের ফ্রিজ এখনও জনপ্রিয় বটে, তবে রণাবেণের ঝক্কিও তাতে কম নয়। আইফ্রিজ এ জায়গায় অতুলনীয়। আকারে ছোট, ঘরের বাইরে কিংবা ভ্রমণকালে সহজেই বহন করা যায় এই ফ্রিজ। চালানোর জন্য সার্বণিক বিদ্যুৎও লাগে না, শুধু ব্যাটারি চার্জ করে নিলেই হল। অ্যাপলের অন্যান্য পণ্যের মতো এতেও আছে ফোন করার সমস্ত সুবিধা।

আইওয়াশ
সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব একটা জনপ্রিয়তা নেই, তবে বিস্ময়কর তথ্য হল এই পণ্যটি থেকে অ্যাপল সবচেয়ে বেশি লাভ করে। কারণ বিভিন্ন দেশে সরকারি পর্যায়ে পণ্যটি কেনা হয়ে থাকে পাইকারি হারে। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে পুলিশ ও র‌্যাবের মতো আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর মধ্যে পণ্যটির চাহিদা প্রশ্নাতীত।

আইফ্যান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেড়েই চলেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। বাইরে বের হলেই হতে হয় ঘেমেনেয়ে একাকার। ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে আইফ্যান যেন এক ম্যাজিক! আকারে প্রায় বুকপকেটের সমান, চাইলে ফ্যানটি ভাঁজ করেও রাখা যায় সহজে। এতে একইসঙ্গে আছে ফোন ও টেক্সট ম্যাসেজ পাঠানোর সুবিধা। তবে ফোন এবং ফ্যান দুটোই একসঙ্গে চালু রাখা যায় না। একটি চালু থাকলে অন্যটি স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকে।

আইরোজগার
মাটির ব্যাংক আজকাল আর দেখা যায় না। তবে সঞ্চয়ের অভ্যাস হারিয়ে যায়নি মানুষের। মধ্যবিত্তের একসময়কার অনিবার্য সঙ্গী মাটির ব্যাংক অ্যাপলের হাতে এসে নিয়েছে সৃজনশীল রূপ। সুপরিসর ছিদ্র দিয়ে পয়সা তো বটেই, যে কোনো অংকের টাকাও নতুন এই ডিভাইসে নিরাপদে জায়গা করে নিতে পারে।

আইওয়াটার
অ্যাপলের ‘এক্সটা পন্ড’ প্রযুক্তিতে তৈরি এই পানি সহজেই পান করা যায়। প্রতি বোতল আইওয়াটারে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের এক বিস্ময়কর সমন্বয় ঘটেছে। এ ছাড়াও এতে বায়ুরোধক ঢাকনা তো আছেই, সঙ্গে প্রতিটি বোতলের গায়ে রয়েছে সুদৃশ্য তাপ সহনীয় লোগো।

আইপট
রান্নাবান্না নিয়ে গৃহিনী মাত্রেরই ঝামেলার শেষ নেই। এ থেকে মুক্তি দিতে এলো―আইপট। এতে আছে বিশেষ বিল্টইন ব্লুটুথ সুবিধা, যার সাহায্যে রান্নাঘরে না গিয়েই ৮০০ গজের ভেতরে যে কোনো জায়গা থেকে আপনি রান্না করতে পারবেন যে কোনো কিছু, একদম নিখুঁতভাবে। খাবার পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও নেই, কারণ আইপটের তাপমাত্রা নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ইমেইল ঠিকানায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সতর্কীকরণ মেইল পৌঁছে যাবে।

আইএমএলএম
আইনজীবীদের যেমন কালো গাউনে, ঠিক তেমনি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম (আরো সংক্ষেপে মলম) ব্যবসায়ীদের চেনা যায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় হাতে চামড়ার ব্যাগ আর গলায় টাই পরা দেখলে। যদিও পণ্যটি নিয়ে নানা বিতর্ক আছে শুরু থেকেই, তবু অ্যাপলের সৃজনশীলতা চোখে পড়ার মতো।

আইফুট
কম্পিউটার চালানোর সময় হাতের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। পা দুটো সে তুলনায় উপেতি, তবে একেবারে গুরুত্বহীনও নয়। মাউসের জন্য যেমন মাউসপ্যাড, তেমনি সঠিকভাবে কম্পিউটার চালনার স্বার্থে পা রাখার জন্যও চাই সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত জায়গা। আইফুট নিখুঁত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঠিক এর সমাধান নিয়ে এসেছে। এতে প্রি-লোড করা আছে জনপ্রিয় কিছু নৃত্যের পা-চালিত মূদ্রাও।

আইডিশ
স্যাটেলাইটের যুগে ডিশ অ্যান্টেনা ছাড়া বিনোদনের কথা ভাবাই যায় না। তবে বিশালকায় ডিশ অ্যান্টেনা লাগাতে সুপরিসর জায়গার যেমন প্রয়োজন, তেমনি আছে রণাবেণের ঝামেলা। এখন আর দুর্ভোগ নয়, আইডিশ নিয়ে এসেছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি। আপনার মোবাইল ফোনের ওপরে ছোট্ট ডিশ অ্যান্টেনাটি লাগিয়ে টেলিভিশনেই উপভোগ করুন ইচ্ছেমতো স্যাটেলাইট চ্যানেল। ঝকঝকে ছবি, জোরালো শব্দ আর বিশেষ ধাতুতে নির্মিত অ্যান্টেনা দীর্ঘস্থায়ীও বটে।

আইক্রিম
আইক্রিমকে বলা হয়ে থাকে বহুমাত্রিক ক্রিম। রঙ ফর্সা করার জন্য এটি গায়ে মাখা যায়, আবার জ্যাম-জেলীর বিকল্প হিসেবে খাওয়াও যায়।

আইসয়াবিন
প্রযুক্তি ছেড়ে অ্যাপল কেন ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়―এ নিয়ে বিতর্ক কম নয়। তবু আইসয়াবিন সমাদৃত হয়েছে ক্রেতাদের ঘরে ঘরে। পাওয়া যাচ্ছে এক থেকে পাঁচ লিটারের সুদৃশ্য স্বচ্ছ প্যাকেটে।

প্রথম প্রকাশ
ই-প্রথম আলো ১  □  ই-প্রথম আলো ২  □  প্রথম আলো ওয়েব
ফেসবুক ফ্যান পেইজ ১  □  ফেসবুক ফ্যান পেইজ ২ 
প্রকাশকাল : ১০ অক্টোবর ২০১১

Tags: , , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply