বাংলা সার্চে দুর্নীতি সন্ধান!

নেই মানে নেই! দেশের কোথাও আসলে দুর্নীতি নেই। টিআই জরিপে এখনো বাংলাদেশ সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের অন্যতম হতেই পারে, কিন্তু কে না জানে দেশে কোনো দুর্নীতির নামগন্ধও নেই। কেউ হয়তো বলবেন, দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর কাজই তো আটকে গেল। আসলে ওটা শ্রেফ ভুল বোঝাবুঝি। বিশ্বব্যাংক যোগাযোগমন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলেছে ঠিক, তবে সেটা বিএনপি আমলের যোগাযোগ। আরো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? যারা বলেন দুর্নীতি দমন অভিযানের গতি ঢিমেতালে, তারা আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্থ করার চক্রান্ত করছেন। না, কোথাও দুর্নীতির লেশমাত্রও নেই। এমনকি আওয়ামী লীগ আমলে যে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া শুরু করেছিল, সেটাও ছিল রূপকথা।
[ বড়ো আকারে দেখার জন্য ছবির ওপরে ক্লিক করুন ]
এমনিতে ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ পদ্ধতিতে দুর্নীতি খোঁজাও খুব কাজের কথা নয়। যথারীতি ‘বাংলা সার্চে’ও নেই মানে নেই!

২.
মূল সমস্যা মূলত আমজনতার। খেয়ে না-খেয়ে তারা কেবল দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ায় আর নিষ্ঠাবান সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদেও একই ঘটনা। পুরো পাঁচটি বছর সবাই সাক্ষাৎ দুর্নীতিবিরোধী যমদূত। কিন্তু মেয়াদ পেরোতেই বেরিয়ে এল থলের বেড়াল। ওদিকে কাহিনী জমে ওঠার আগেই কেউ পাড়ি জমালেন লন্ডনে, কেউ আবার মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে। সে এক সুগভীর সম্প্রসারণবাদী ষড়যন্ত্র! ডজন ডজন দুর্নীতি মামলা? সে তো সরকারের দমননীতির অংশ মাত্র। বিদেশী ব্যাংকে নামে-বেনামে একাউন্ট? কে না জানে, এ হল সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত।
[ বড়ো আকারে দেখার জন্য ছবির ওপরে ক্লিক করুন ]

সুতরাং এই পাড়েও সবাই মহাত্মা গান্ধীর একনিষ্ঠ অনুসারী। দুর্নীতি তো দূরের, ভাজা মাছও উল্টে খেয়েছেন কিনা সন্দেহ। বলাবাহূল্য, ‘বাংলা সার্চে’ তারই প্রতিফলন ঘটেছে হাতেনাতে।


সংযুক্তি
ই-প্রথম আলো ১  □   ই-প্রথম আলো ২ 


প্রকাশকাল : ৫ ডিসেম্বর ২০১১

Tags: , , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply