টার্গেট সামহোয়্যারইন... ব্লগ : মুক্তমত প্রকাশের এই জায়গাটুকু বাঁচাতেই হবে

ঠিক এখনই যিনি হাসিমুখে নিজের দিনলিপি লিখছেন প্রথম পাতায়, তার বোঝার উপায় নেই যে, ১০০০ পিক্সেল প্রস্থের এই সামহোয়্যারইন...ব্লগের ভেতরে কী রক্তক্ষরণ চলছে এখন! এক দলের চোখ রাঙানি সামাল দিতে না দিতেই সামহোয়্যারকে লড়তে হচ্ছে আরেক দলের সঙ্গে। তাদের কেউ চেনা, কেউ অচেনা। কেউ ডান, কেউ বাম, কেউবা চরমপন্থী। তাদের সকল আক্রোশ একযোগে এসে জমা হয়েছে সামহোয়্যারইনের ওপর। যে 'ব্লগার' নামে আজ কাঁপছে বাংলাদেশ, সেই ব্লগারদের পথিকৃৎ যারা, বাংলাভাষায় কমিউনিটি ব্লগের সূচনা হয়েছিল যাদের হাতে, চেনা দুনিয়ার বাইরে মুক্তচিন্তার দরজা খুলে দিয়েছিলেন যারা, আধুনিক এই বাংলাদেশে তারাই আজ মধ্যযুগীয় এক নোংরা খেলার শিকার। স্বার্থান্বেষী সব মহলই এখন চাইছে মুক্তচিন্তার সবল এই জানালাটি বন্ধ হয়ে যাক। কারণ অনলাইন তো বটেই, এমনকি অফলাইনেও এই এখন পুরো বাংলাদেশে নিঃশঙ্ক চিত্তে মতামত প্রকাশ প্রকাশের বড়ো জায়গা এই একটিই।

সবার শত্রু, কিন্তু বিপদে সবার আশ্রয়
কী ডান-কী বাম, কী আওয়ামী লীগ-কী বিএনপি, কী আস্তিক-কী নাস্তিক, জামায়াত-শিবির চক্র তো বটেই, এমনকি সরকারেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে আমাদের এই সামহোয়্যারইন ব্লগ। ডান মনে করে সামহোয়্যারইন বাম অধ্যুষিত ব্লগ, আবার বামের ধারণা এটি ডানের আস্তানা। আওয়ামী লীগের বড়ো বড়ো নেতা সরাসরি এই ব্লগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নানা সময়ে, আর বিএনপি এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ব্লগই বন্ধ করে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছে। আস্তিকরা সবসময়ই ভেবে এসেছেন সামহোয়্যারইন নাস্তিকদের প্রশ্রয় দেয়, আবার নাস্তিকরা তারও একধাপ ওপরে উঠে ঘোষণা দেন সামহোয়্যারের মডারেটররাই নাকি মৌলবাদি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সামহোয়্যারের স্পষ্ট অবস্থান সবসময়ই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের মাথাব্যথার কারণ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কখনো 'সাধারণ মুসল্লি' সেজে, কখনো 'ইসলামি আলেম-ওলামা' সেজে সরাসরি সামহোয়্যারইন ব্লগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল-সমাবেশ-বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। কিন্তু যখনই প্রয়োজন পড়েছে, যখনই কোনো মিডিয়ায় কেউ কথা বলতে পারেনি - প্রত্যেকেই এসে উপস্থিত হয়েছে বাংলাভাষার বৃহত্তম এই ব্লগে। ব্লগের উদারনীতির সুযোগ নিয়ে মত-পথ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই এই ব্লগের জনপ্রিয়তাকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতে দ্বিধা করেনি। করে যাচ্ছে এখনো।

স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্ষুশূল সামহোয়্যারইন
ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীরা গত কিছুদিন ধরে বেশ আঁটঘাট বেধে ব্লগের পেছনে লেগেছে। তথাকথিত 'আলেম সমাজের ' ব্যানারে গত শুক্রবার এরা সারা দেশেই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। এটি এখন কারোরই অজানা নয় যে, শাহবাগকেন্দ্রিক গণজাগরণের নেপথ্যে যেহেতু ব্লগাররা ছিল, মূলত সেই ব্লগারদের ঘায়েল করতেই 'আলেম সমাজের ' ব্যানারে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র ব্লগারদের চরিত্রহনন ও ব্লগ বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রতি ৫০ হাজার ব্লগারের মধ্যে একজন হয়তো ধর্ম নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন, তাতে কি বাকি সব ব্লগারই ধর্মবিরোধী নাস্তিক হয়ে যান? ইউটিউবের একটি কি দুটি ক্লিপে ইসলাম ধর্মের অবমাননাসূচক বার্তা আছে, তাতে কি পুরো ইউটিউবই বন্ধ করে দিতে হবে? ইন্টারনেট জুড়ে ইসলাম ধর্মের কুৎসা গাওয়া হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে, তার মানে কি সব ওয়েবসাইটই বন্ধ করে দিতে হবে?

বাংলানিউজের হলদে সাংবাদিকতা
বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরে গত ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টানা তিন দিন ধরে সামহোয়্যারইনের বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা রচনা করা হল। আজ থেকে চার বছর আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছিল যে ব্লগটি, তার বিরুদ্ধেই উল্টো অভিযোগ তোলা হল শিবির তোষণের, সার্বভৌমত্ববিরোধী কার্যকলাপের। গত ৫ ফেব্রুয়ারির শুরুতে শাহবাগে ব্যানার হাতে জনাবিশেকও হবে না উপস্থিতি, আজকের গণজাগরণ বিশেষজ্ঞ অনলবর্ষী বক্তারা-টকশোজীবী সুবিধাবাদীরা তখনো শাহবাগ থেকে বহু দূরে, কিন্তু সামহোয়্যারইন পোস্ট স্টিকি করে সেই পাঁচ তারিখেই আওয়াজ তুলেছে - 'রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গর্জে উঠেছে বাংলাদেশ: চল চল শাহবাগ চল।' তবু সামহোয়্যারইন নাকি শাহবাগ নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকায়! কেবল তাই নয়, হলুদ সাংবাদিকতার নিকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে ওঠা বাংলানিউজ এই ফাঁকে একপ্রস্থ ভয় দেখানোর চেষ্টাও করেছে সামহোয়্যারকে। বিচারের ভার ব্লগারদের হাতে।

আমার দেশের ধারাবাহিক কুৎসা
বেশ কিছুদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধীদের মুখপত্র হয়ে ওঠা 'আমার দেশ' ও যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর 'নয়াদিগন্ত' রীতিমতো প্রধান প্রতিবেদন-বিশেষ প্রতিবেদন সাজিয়ে সামহোয়্যারইনকে নগ্নভাবে আক্রমণ তো করছেই, সঙ্গে ধর্মান্ধদের জন্য তৈরি করে দিচ্ছে উস্কানির তাজা সব উপকরণ। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমার দেশের প্রধান প্রতিবেদন ছিল - ‌"ব্লগে নাস্তিকতার নামে কুত্ সিত অসভ্যতা।" মাত্র তিন জন ব্লগারের লেখালেখির ওপর ভিত্তি করে ফোলানো-ফাঁপানো ওই প্রতিবেদনে বাকি সব ব্লগারকেই 'অসভ্য' বলে ঢালাও আক্রমণ করা হয়। মজার ব্যাপার হল, ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলানিউজ বায়বীয় সূত্রের বরাত দিয়ে অভিযোগ ফেঁদে বসে, সামহোয়্যার শিবির-তোষণ করছে। এর মাত্র নয় দিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবিরের মুখপত্র 'আমার দেশ' ঠিক তার উল্টো অভিযোগ তুলে বসে। এক প্রতিবেদনে তারা উস্কানি যুগিয়েছে এভাবে - "যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের যৌক্তিক সমালোচনার কারণেও ব্লগ বাতিল করা হয়, সেখানে ধর্ম নিয়ে অশ্লীলতার পরও কীভাবে এরা পার পেয়ে গেছে বিকৃত মানসিকতার নাস্তিক ও আওয়ামী সমর্থিত পাণ্ডারা? কী এজেন্ডা নিয়ে সামহোয়্যারইন ব্লগ পরিচালিত হচ্ছে? শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলাম অবমাননাকারীদের ‘লালন’ করার সাহস কোথায় পেয়েছে সামহোয়্যারইন ব্লগ মালিক কর্তৃপক্ষ?"
২২ ফেব্রুয়ারিও শীর্ষ প্রতিবেদন করা হয় এই শিরোনামে - "ধর্ম ও আদালতের অবমাননা করছে ব্লগারচক্র"। যথারীতি ওই প্রতিবেদনেও মাত্র পাঁচ জন ব্লগারের কর্মকাণ্ডের জন্য বাকি সব ব্লগারের শাস্তি দাবি তো বটেই, সামহোয়্যারইনসহ বিভিন্ন ব্লগ বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। এগুলোই নয় কেবল, গত কিছুদিন ধরে এই পত্রিকাটি ব্লগ ও ব্লগারদের বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা গেয়ে যাচ্ছে, এমনকি ব্লগারদের ফাঁসি দেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছে। যেন বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির প্রতিশোধ পত্রিকাটি নেবেই নেবে! সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, ব্লগমণ্ডলে সুপরিচিত সেই সাইবার ক্রিমিনাল চক্রটি আমার দেশের মন্তব্যের ঘরে এসে চালিয়ে যাচ্ছে সেই নোংরা কাজটি। Iam Bangladeshi নামে একটি ভুয়া ফেসবুক নিক থেকে জানার নাম ও ফোন নম্বর তুলে দিয়ে অশালীন ও অসত্য মন্তব্য শুধু ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপেই নয়, করা হচ্ছে আমার দেশ অনলাইন সংস্করণের বিভিন্ন প্রতিবেদনের নিচেও।

হোয়াইট কলার 'প্রগতিশীল'
আজ থেকে চার বছর আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের মতো অভিনব উদ্যোগ এই সামহোয়্যারইনই নিয়েছিল প্রথম। পাশাপাশি জনসমক্ষে সেটাকে উপস্থাপনের ভারও স্বেচ্ছায় নেয় সামহোয়্যারইন। এই সামহোয়্যারইনই প্রথম দেশ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লেখালেখির বিপক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়ে নীতিমালায় বিশেষ ধারা সংযোজন করে। অনলাইনে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে সবচেয়ে স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইগুলোও হয়েছে এই সামহোয়্যারইনেই। গত কয়েক বছরে প্রগতিশীল এমন কোনো আন্দোলন নেই, যেখানে সামহোয়্যারইন কিংবা তার ব্লগারদের ভূমিকা ছিল না। এমনকি তেল-গ্যাস রক্ষা আন্দোলন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি বৃদ্ধির মতো আন্দোলনেও সামহোয়্যার রেখেছে অসামান্য ভূমিকা।
তারপরও সামহোয়্যারইনকে পরীক্ষা দিতে হয় অথর্ব, মেধাহীন-মতলববাজ, সাইবার ক্রিমিনালদের কাছে। এটা এখন অনেকেরই জানা যে, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিই নয় কেবল, গণজাগরণ মঞ্চের আশেপাশেও কিছু স্বার্থান্বেষী ঘুর ঘুর করেন সামহোয়্যারের গলায় দড়ি ঝোলানোর মতলব নিয়ে। এই কদিনে কম চেষ্টা হয়নি গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এটা বলানোর - "সামহোয়্যারইন একটি ছাগুব্লগ।" সেই চেষ্টা এখনো চলছে। যদিও এখন পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চের পরিচালকদের তারা এই অপকর্মে রাজি করাতে পারেনি। পারলেই বা কী! শাহবাগ গণজাগরণের সঙ্গে সামহোয়্যারইনের সম্পর্কটা নাড়ির। ওই গণজাগরণের ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছিল এই সামহোয়্যারইনই। এই সত্যটুকুও অনেকে অস্বীকার করতে চান। কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে শাহবাগে যখন ব্লগাররা গেলেন, সংখ্যা তখনও একেবারেই হাতেগোনা। তাদেরও বেশিরভাগই ছিলেন এই সামহোয়্যারের ব্লগার। সেই পাঁচ তারিখেই পোস্ট স্টিকি করে সামহোয়্যারইন...ব্লগ আওয়াজ তুলেছে - 'রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গর্জে উঠেছে বাংলাদেশ: চল চল শাহবাগ চল

জানাকে নিয়ে বিপজ্জনক নোংরামি
জানা ও আরিলকে অশালীনভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে বারবার। তাদের শিশুকন্যাটিও ওই কুৎসিত থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। না, এ কোনো স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কাজ নয়। প্রগতিশীলতার মুখোশ পরে যারা ব্লগে-ফেসবুকে ঘোরাফেরা করে, নিজেকে নেতা বানানোর চেষ্টায় যারা মরিয়া, নিজের নাক কেটে যারা পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে সিদ্ধহস্ত, তারাই নোংরা এই কাজটি করে যাচ্ছে খুব পরিকল্পিতভাবে। এর আগে এই চক্রটিই কয়েকজন নারী ব্লগারের নাম দিয়ে অশ্লীল সাইট তৈরি করে, ভুয়া ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছিল। জানাকে নিয়ে ব্লগস্পট-ওয়ার্ডপ্রেসে অশালীন সাইট খোলা হয়েছে। ছবি বিকৃত করে নানান অপপ্রচার চলেছে। কিন্তু সামহোয়্যারইন তো নয়ই, জানাও তাতে এতোটুকু দমেননি। পরিস্থিতির সুযোগ বুঝে এবার সেই চক্রটিই জানার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে নতুন উদ্যমে, আরো নোংরা কৌশল নিয়ে, আরো বিপজ্জনক উপায়ে। রাতভর যে 'মুক্তিযুদ্ধ গবেষকের' মূল কাজ ইন্টারনেটে চেনা-অচেনা পর্নো ক্লিপ আপলোড করা, রগরগে চটি লেখা - তিনিও এখন বিদগ্ধ ব্লগার সেজে সামহোয়্যারকে একহাত দেখে নেওয়ার চেষ্টায় রাতদিন শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। চার-পাঁচদিন আগে হঠাৎই জানার মোবাইলে কিছু কল আসা শুরু হল। সেই সব কলে অশ্লীল যৌন ইঙ্গিতবহ নানা প্রস্তাব দেওয়া হতে লাগলো। পরে গুগল করে অন্তত দুটি গ্রুপের খোঁজ পাওয়া গেল, যেখানে জানার নাম ও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহার করে অশ্লীল স্ট্যাটাস প্রচার করা হয়েছে। লক্ষ্য দুটি- প্রথমত জানার ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপনের চেষ্টা, দ্বিতীয়ত সামহোয়্যারইন ব্লগটিই বন্ধ করে দেওয়া।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, জানা-আরিল দুজনেই জামায়াত-শিবির অপশক্তির হিটলিস্টে আছেন। বাংলাভাষাভাষীদের মুক্তমত প্রকাশের জায়গা করে দিয়ে দুজনেই এখন তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে গভীর শঙ্কায় দিনরাত কাটাচ্ছেন। বাংলা আর বাংলাদেশকে ভালোবেসে যে আরিল্ড ক্লকারহগ এবং সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা বিপুল ব্যয়ভার বহন করে বাংলাভাষায় প্রথম কমিউনিটি ব্লগটি প্রতিষ্ঠা করে ছয় ছয়টি বছর ধরে কঠিন এই বোঝা টেনে চলেছেন, লাখ লাখ বাংলাভাষীকে ব্লগমাধ্যমটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত করিয়েছেন, সেই তারাই আজ একদিকে একদল হিংস্র পশুর রক্তচক্ষুর মুখোমুখি, অন্যদিকে প্রগতিশীলতার মুখোশ পরা আরেক দল মানসিক রোগীর নোংরা খেলার শিকার। এই দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচাতেই হবে আমাদের প্রিয় ব্লগকে।

কেউ কি টের পাচ্ছেন, প্রিয় সামহোয়্যারের ভেতরে কী রক্তক্ষরণ চলছে! 

Tags: , , , , , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply