আমারব্লগে এটাই আমার শেষ পোস্ট। পরিসংখ্যান দেখে আমার ভাবতে ভালো লাগছে, আমারব্লগের সর্বাধিক পঠিত তিনটি পোস্টের দুটিই আমার। এটা নতুন ঘটনা নয়, আগেও তাই ছিল। শমশেরের কোনো এক পোস্টে তার একটা বিবরণও ছিল মনে পড়ে। যা হোক, এটা নিশ্চয়ই সাফল্য। শেষে কিছু বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়াটা জানিয়ে রাখলাম-
আওয়ামী লীগার আর হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার পার্থক্য
আমর সেই পোস্টে আমি বলেছি টিমের কথা। কিন্তু কয়েকজন ব্লগারের কথায় মনে হল, তাদেরও আমি হাস্যকর আওয়ামী মনোভাবাপন্ন বলেছি। অনেকেই দেখি, বারবার একই ভুল করছেন। আওয়ামী লীগার আর হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার মধ্যে পার্থক্য আছে। এখানে প্রশ্নটা হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার। টিমটার মধ্যে হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতা আছে- এটাই বলেছি আমি। কারণটাও বলেছি পোস্টে- "এরা আওয়ামী মানসিকতা নিয়ে ব্লগ নির্মাণ করতে চায়। এমনই হাস্যকর সেই মানসিকতা- মেধাবী ডেভেলপারকে তারা হায়ার করবে না। তাদের দরকার আওয়ামী ডেভেলপার।"
এখানে ব্লগারদের কথা বলিনি, ইঙ্গিতটা আমারব্লগ টিমের প্রতি। আওয়ামী লীগার হওয়াটা দোষের কিছু নয়, দোষটা হল হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার। আমার পোস্টের লক্ষ্য কোনো ব্লগার ছিলেন না, আমারব্লগ কর্তৃপক্ষই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। এখন কেউ পোস্টের মর্মার্থ, শব্দবন্ধের অর্থ না বুঝে বাচ্চা ছেলের মতো হাউকাউ করলে আমার তো দায় নেই যে, তাদের বাল্যশিক্ষার পাঠ দেবো।
প্রথম আলো ব্লগ নিয়ে বিভ্রান্তি
অন্য কিছু নয়, শ্রেফ ব্লগ সমালোচক হিসেবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, পুরনো কোনো ব্লগ থেকে প্রথম আলো ব্লগে ইউজার নেওয়ার দরকার পড়বে না। সে চেষ্টাও তারা করছেন বলে মনে হয় না। প্রথম আলোর বিশাল পাঠকসংখ্যার এক শতাংশও যদি ওই ব্লগে আসে, মানুষের জায়গা দেওয়ার জায়গা থাকবে না। যতো কঠিনই শোনাক না কেন, সুশান্ত যতো ওপেন চ্যালেঞ্জই জানাক না কেন, আমারব্লগ সেখানে কোনো ফ্যাক্টরই না। তারপরও আমার পোস্টের পর অনেকে সন্দেহ করছেন, পোস্টটা দিয়ে আমারব্লগের প্রচার করে ফেললাম কিনা। এবার তারা নিশ্চয়ই বুঝবেন যে, আমারব্লগের উন্নতির জন্যই পোস্টটি দিয়েছিলাম। ভাষা কঠোর হয়েছে ঠিক, কিন্তু তা না করেও উপায় ছিল না।
প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া
আমার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় অনেকগুলো পোস্ট পড়েছে দেখেছি। নীড় সন্ধানী নামের ব্লগারের পোস্টটি তুলনামূলক ভালো হয়েছে। কারো কারো মন্তব্য যথার্থ হয়েছে। আমার পোস্টটি স্টিকিও হয়েছে দেখলাম। আইজুদ্দিন নামের একজন এদের পেছনে আছে বলেই বোধকরি এটা সম্ভব হয়েছে। পুরনো সহ-ব্লগারদের মধ্যে এই একজন লোক, সমালোচনা সহ্য করার মতো মানসিকতা যার আছে। উপলব্ধিটা এখনকার নয়, পুরনো।
সুশান্ত, আমারব্লগের ওয়েবমাস্টার, যিনি নিজের পরিচয় ইতিমধ্যে দিয়েছেন, ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতো তার প্রতিক্রিয়া দেখে আমি আনন্দিত। কারণ এর মাধ্যমে আমার পোস্টের যৌক্তিকতা প্রমাণ হয়েছে।
সচলায়তনের পান থেকে চুন খসলেই আমারব্লগের যারা খেয়ে না খেয়ে উঠেপড়ে লাগেন, তাদের রূপটাও দেখা গেল আমার দেওয়া পোস্ট থেকে। সমালোচনা সহ্য করার শক্তি এদের নেই। তবে একপাল মোসাহেবের উত্থান ঘটেছে স্বনামে-বেনামে- এখন পর্যন্ত এটাই মনে হয় আমারব্লগের একমাত্র সাফল্য।
রাশেদের স্বীকারোক্তি থেকে ব্লগাররা জানবেন, আমারব্লগের লোগোটি আমার করা। এরপরও শুরু থেকে সুশান্ত যখনই যা চেয়েছেন, সময় থাকলেও দিয়েছি, ব্যস্ততা থাকলেও করে দিয়েছি। শত সমালোচনা আর ব্যানের ভয় মাথায় নিয়ে সেই শুরুতে সামহোয়্যারইনে প্রচারণাও চালিয়েছি আইজু আর আমি। ভেতরবাড়ির আরো নানা ব্যাপারে নাইবা বললাম আর। তবে এখন মনে হচ্ছে, এরা একটু অকৃতজ্ঞও বটে।
সামহোয়্যারইনের পেছনে তো লেগেই আছি। বরাবরই করছি সচলায়তনের। ভবিষ্যতে আমারব্লগের সমালোচনাও আমি অবশ্যই করবো। তবে এখন থেকে তা করবো অন্যখানে, কোনো দ্বিধা ছাড়াই।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
আওয়ামী লীগার আর হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার পার্থক্য
আমর সেই পোস্টে আমি বলেছি টিমের কথা। কিন্তু কয়েকজন ব্লগারের কথায় মনে হল, তাদেরও আমি হাস্যকর আওয়ামী মনোভাবাপন্ন বলেছি। অনেকেই দেখি, বারবার একই ভুল করছেন। আওয়ামী লীগার আর হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার মধ্যে পার্থক্য আছে। এখানে প্রশ্নটা হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার। টিমটার মধ্যে হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতা আছে- এটাই বলেছি আমি। কারণটাও বলেছি পোস্টে- "এরা আওয়ামী মানসিকতা নিয়ে ব্লগ নির্মাণ করতে চায়। এমনই হাস্যকর সেই মানসিকতা- মেধাবী ডেভেলপারকে তারা হায়ার করবে না। তাদের দরকার আওয়ামী ডেভেলপার।"
এখানে ব্লগারদের কথা বলিনি, ইঙ্গিতটা আমারব্লগ টিমের প্রতি। আওয়ামী লীগার হওয়াটা দোষের কিছু নয়, দোষটা হল হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার। আমার পোস্টের লক্ষ্য কোনো ব্লগার ছিলেন না, আমারব্লগ কর্তৃপক্ষই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। এখন কেউ পোস্টের মর্মার্থ, শব্দবন্ধের অর্থ না বুঝে বাচ্চা ছেলের মতো হাউকাউ করলে আমার তো দায় নেই যে, তাদের বাল্যশিক্ষার পাঠ দেবো।
প্রথম আলো ব্লগ নিয়ে বিভ্রান্তি
অন্য কিছু নয়, শ্রেফ ব্লগ সমালোচক হিসেবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, পুরনো কোনো ব্লগ থেকে প্রথম আলো ব্লগে ইউজার নেওয়ার দরকার পড়বে না। সে চেষ্টাও তারা করছেন বলে মনে হয় না। প্রথম আলোর বিশাল পাঠকসংখ্যার এক শতাংশও যদি ওই ব্লগে আসে, মানুষের জায়গা দেওয়ার জায়গা থাকবে না। যতো কঠিনই শোনাক না কেন, সুশান্ত যতো ওপেন চ্যালেঞ্জই জানাক না কেন, আমারব্লগ সেখানে কোনো ফ্যাক্টরই না। তারপরও আমার পোস্টের পর অনেকে সন্দেহ করছেন, পোস্টটা দিয়ে আমারব্লগের প্রচার করে ফেললাম কিনা। এবার তারা নিশ্চয়ই বুঝবেন যে, আমারব্লগের উন্নতির জন্যই পোস্টটি দিয়েছিলাম। ভাষা কঠোর হয়েছে ঠিক, কিন্তু তা না করেও উপায় ছিল না।
প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া
আমার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় অনেকগুলো পোস্ট পড়েছে দেখেছি। নীড় সন্ধানী নামের ব্লগারের পোস্টটি তুলনামূলক ভালো হয়েছে। কারো কারো মন্তব্য যথার্থ হয়েছে। আমার পোস্টটি স্টিকিও হয়েছে দেখলাম। আইজুদ্দিন নামের একজন এদের পেছনে আছে বলেই বোধকরি এটা সম্ভব হয়েছে। পুরনো সহ-ব্লগারদের মধ্যে এই একজন লোক, সমালোচনা সহ্য করার মতো মানসিকতা যার আছে। উপলব্ধিটা এখনকার নয়, পুরনো।
সুশান্ত, আমারব্লগের ওয়েবমাস্টার, যিনি নিজের পরিচয় ইতিমধ্যে দিয়েছেন, ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতো তার প্রতিক্রিয়া দেখে আমি আনন্দিত। কারণ এর মাধ্যমে আমার পোস্টের যৌক্তিকতা প্রমাণ হয়েছে।
সচলায়তনের পান থেকে চুন খসলেই আমারব্লগের যারা খেয়ে না খেয়ে উঠেপড়ে লাগেন, তাদের রূপটাও দেখা গেল আমার দেওয়া পোস্ট থেকে। সমালোচনা সহ্য করার শক্তি এদের নেই। তবে একপাল মোসাহেবের উত্থান ঘটেছে স্বনামে-বেনামে- এখন পর্যন্ত এটাই মনে হয় আমারব্লগের একমাত্র সাফল্য।
রাশেদের স্বীকারোক্তি থেকে ব্লগাররা জানবেন, আমারব্লগের লোগোটি আমার করা। এরপরও শুরু থেকে সুশান্ত যখনই যা চেয়েছেন, সময় থাকলেও দিয়েছি, ব্যস্ততা থাকলেও করে দিয়েছি। শত সমালোচনা আর ব্যানের ভয় মাথায় নিয়ে সেই শুরুতে সামহোয়্যারইনে প্রচারণাও চালিয়েছি আইজু আর আমি। ভেতরবাড়ির আরো নানা ব্যাপারে নাইবা বললাম আর। তবে এখন মনে হচ্ছে, এরা একটু অকৃতজ্ঞও বটে।
সামহোয়্যারইনের পেছনে তো লেগেই আছি। বরাবরই করছি সচলায়তনের। ভবিষ্যতে আমারব্লগের সমালোচনাও আমি অবশ্যই করবো। তবে এখন থেকে তা করবো অন্যখানে, কোনো দ্বিধা ছাড়াই।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
0 মন্তব্য