ফখরুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক আমলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক যথেষ্ট ভালো ছিল। কিভাবে ছিল, সেইটা আমাদের জানার দরকার নেই। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বিদ্যুতের করুণ অবস্থা কেন দাঁড়াল- তাও আমরা জানতে চাই না। কোথাকার গ্যাস কোন্ জাহান্নামে যাচ্ছে কি যাচ্ছে না, কাপ্তাই কি শিকলবাহার বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ কি খোলা- এসবের কিছুই জানতে চাই না। আমরা শুধু বিদ্যুৎ চাই। সন্ধ্যার পর ঘরে একটু আলো জ্বালাতে চাই। এর বেশি চাওয়া নেই আমাদের।
মানুষ টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে চাইছে। মাগনার কোনো ব্যাপার নেই এখানে। সরকার এখানে জনসেবাও করছে না। তারপরও সরকারি কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তা দেখলে মনে হয়, তারা দয়াপরবশ হয়ে আমাদের কিছু বিদ্যুৎ দান করছে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তো বলেই বসলেন, প্রয়োজনে গ্রামের বিদ্যুৎ শহরে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কেন? গ্রামের ওরা মানুষ না, জনাবা মতিয়া চৌধুরী?
অমি ঠিক জানি না, ডিজিটাল সরকার চালাতে এক্সট্রা ডিজেল বা বিদ্যুৎ লাগছে কিনা।
ডিজিটাল সবকিছুই সাধারণত বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে ডিজিটাল সরকারইবা বাদ যাবে কেন? তবে জানিয়ে রাখছি, বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে হাসিনা সরকারের 'পুমা' খাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। খোদার কসম!
ছবি : ওয়েব থিকা মার্ছি।
0 মন্তব্য