ভাবলাম, খুলবো যখন, নিজের নামে খোলাই ভালো। দ্রুতই হটমেইলের নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করে নিচের দিকে কাঙ্খিত ইমেইল ঠিকানা দিয়ে দিলাম- myname@pmo.gov.bd. বারকয়েক ওকে-টোকে দিয়ে মাইক্রোসফটের প্রমোশনালে বাধ্যতামূলক সম্মতি জ্ঞাপন করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। উত্তেজনা ছিলই একটা স্বাভাবিকভাবে- প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নামে ইমেইল ঠিকানা পাওয়া সহজ ব্যাপার না! তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বুঝলাম, ব্যাপারটা এতো সহজও না।
শেষ ধাপে যে ম্যাসেজটি পাওয়া গেল, তাতে মনের উত্তেজনা মাথায় উঠে গেল। ম্যাসেজে বলা হল, pmo.gov.bd ডোমেইনের কী এক ইমেইল ঠিকানায় আমার প্রাসঙ্গিক তথ্যসহ তারা একটি মেইল পাঠিয়েছে ভেরিফিকেশনের জন্য। বলা হল, যেন দ্রুত ওই মেইল চেক করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। কী আজব কান্ড! কথা তো এইরকম ছিল না! টিউটোরিয়ালেও ভেরিফিকেশনের কোনো উল্লেখ ছিল না। মেজাজ গেল বিগড়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবমাস্টার নিশ্চয়ই এই ইমেইল পাবেন। তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে কেউ একজন ইমেইল একাউন্ট খোলার চেষ্টা করেছে- এটাও তাদের না বোঝার কথা নয়। তাছাড়া মেইলের সঙ্গে আমার আইপি যাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। আর আইপি পাওয়া গেলে আমাকে শনাক্ত করাও তাদের জন্য এমন কোনো ব্যাপার না।
ভয়ে ভয়ে কাটলো কয়েকটি দিন। জানতাম, চাইলে তারা আমার গর্দভসম কাজটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়েও নিয়ে যেতে পারে আইনের মারপ্যাঁচে। তবে সৌভাগ্য আমার, দেশটির নাম ছিল বাংলাদেশ। এবং আল্লাহপাকের অসীম রহমতে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যাপারটি বুঝে উঠতে পারেনি!
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): হটমেইল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেইল, hotmail, msn, prime minister's office, mail ;
প্রথম প্রকাশ
0 মন্তব্য