উঁচুতলার গল্প এবার
■ হাসিব আজিজ উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে কয়েকদিন আগে তাকে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হাসিবের দ্বিতীয় স্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সাত বছর আগে তাকে বিয়ে করার পর থেকেই হাসিব আজিজ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। প্রতিবাদ করলে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এর আগে ২০০২ সালে হাসিব তাকে কাজের লোক সাজিয়ে লন্ডন নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শী ও পাঠকের প্রতিক্রিয়া থেকে জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের এই ক্যাডারের পোস্টিং যে দেশেই হতো, সেখানেই তিনি আদমব্যবসা খুলে বসতেন। এই লেখায় সেই প্রসঙ্গ গৌণ অবশ্য। মূখ্য হচ্ছে, যে দেশেই তিনি যেতেন, সেই দেশেই তিনি একটি করে 'বিয়ে' করতেন। সর্বশেষ মরক্কোতে তার এই ধরনের একজন স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া গেছে।
■ গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুনকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে। তার কয়েকদিন পরই জাহাঙ্গীর নগরে স্বয়ং এক শিক্ষিকা বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন।
একসঙ্গে মাত্র দুদিনের কিছু সংবাদ
■ জুড়িতে এক নারীর সম্ভ্রমের মূল্য ৩২ হাজার টাকা!
■ ভিকারুন নিসার ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা
■ মোহনপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণ!
■ মঠবাড়িয়ায় আপন ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগে চাচা গ্রেফতার
■ হবিগঞ্জে যৌন নিপিড়নকারী শিক্ষক মইন সাময়িক বরখাস্ত
■ জাবি শিক্ষিকার অভিযোগ গ্রহণ করে যৌননিপীড়ন সেলে পাঠালেন ভিসি
■ ঢাবিতে বৈশাখের অনুষ্ঠানে ৩০ ছাত্রী লাঞ্ছিত
■ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা
■ অভয়নগরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার
যেখানে সবাই এক চেহারার
মাত্র দুদিনে যৌন উন্মত্ততার এতোগুলো ঘটনা পড়া আমাদের অনেকের জন্য মামুলি ব্যাপার হয়তো, কিন্তু অনেকের জন্যই বিষয়টা নিশ্চিৎ পীড়াদায়ক। মনের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করে। তবে এটা ঠিক যে, আমরা বোধহয় ক্রমশ যৌন উন্মাদ হতে চলেছি। সমাজের উঁচুতলা থেকে নিচতলা, নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, কামলা থেকে আমলা- সবখানে, সবক্ষেত্রেই যেন অস্বাভাবিক এক দণ্ডঘটিত সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে, যেখানে রাষ্ট্রদূত থেকে রিকশাওয়ালা সবাই এক চেহারার, যমজ যেন!
ঘটনা হয়তো দিনাজপুর কি রংপুরের, শিকার হয়তো ২০০ কি ৪০০ মাইল দূরের কোনো নারী, জাবি শিক্ষিকা কিংবা অভয়নগরের স্কুল ছাত্রী। অনায়াসে এই সবকিছু থেকে গা বাঁচিয়ে চলা যায় নিশ্চয়ই। চোখ বুঁজে থাকলেই হয়। চলতি পথে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলেই হয়। কিন্তু চাপ পড়ে ঠিকই। শেষপর্যন্ত এই সবকিছু কোনো না কোনো সময় মনের ওপর এক ধরনের চাপ ফেলেই। হ্যাঁ!
প্রথম প্রকাশ
0 মন্তব্য