রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ছিল খোদ আওয়ামী লীগেও!

জনপ্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের ২৫ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তাদের কেউ ছিলেন এমএনএ (জাতীয় পরিষদ সদস্য) আবার কেউ ছিলেন এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য)। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেও তাদের কয়েকজন যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সরকারি ও দলীয় সিদ্ধান্তে ’৭১ ও ’৭২ সালেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ বিষয়ে আজ দৈনিক আমাদের সময়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শাহেদা খানমের লেখা ওই প্রতিবেদনে এরকম ২৫ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন, একেএম মাহবুবুল ইসলাম (পাবনা), একে ফায়জুল হক (বরিশাল), অধ্যাপক শামসুল হক (চট্টগ্রাম), অংশু প্রু চৌধুরী (পার্বত্য চট্টগ্রাম), ডা. আজাহার উদ্দিন (ভোলা), একেএম মাহবুবুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ) ও আহমদ সাগির হোসেন। এছাড়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ থেকে আরো যেসব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন তারা হচ্ছেন- আবু সোলায়মান মণ্ডল (পীরগঞ্জ, রংপুর), আজিজুর রহমান (গাইবান্ধা), নুরুল হক (রংপুর), এনসান আলী মুক্তার (টাঙ্গাইল) একেএম মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ), আফজাল হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), ওবায়দুল্লা মজুমদার (নোয়াখালী), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মো. মঈনুদ্দীন মিয়াজী (যশোর), হাবিবুর রহমান খান (খুলনা), মো. হাবিবুর রহমান (বগুড়া), জহির উদ্দিন (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), সৈয়দ হোসেইন মনসুর (পাবনা), মো. আবদুল গাফফার (সাতক্ষীরা), মো. সাঈদ (খুলনা), মোশাররফ হোসেন শাহজাহান (ভোলা), , সৈয়দ বদরুজ্জান ওরফে এসবি জামান (ময়মনসিংহ)।

সংযোজনী
মোশাররফ হোসেন শাহজাহান পরে বিএনপিতে যোগ দেন। এবং অনুমান করছি, ফরিদপুরের এবিএম নুরুল ইসলাম সম্ভবত বর্তমান শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাবা। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মুক্তিযু্দ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল আওয়ামী লীগই। তবে ভালো হোক কিংবা মন্দ হোক- ইতিহাস এড়িয়ে যাওয়া কিছুতেই নয়, ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।


প্রথম প্রকাশ

Tags: , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply