বাম ব্লকে ভাঙন শুরু : রনোর নেতৃত্বে নতুন দল

বামবিষয়ক বিলম্বিত শোক সংবাদ জানাতে না জানাতেই অবশেষে বাম ব্লকে ভাঙন শুরু হয়েছে। গতকালই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে গেছে। আমরা ইতিপূর্বে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, সেটিই সত্য হল। দলটির বর্তমান নেতৃত্ব কমিউনিস্ট চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে এবং বুর্জোয়াদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে অভিযোগ এনে পলিটব্যুরোর সদস্য হায়দার আকবর খান রনোকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের আরেকটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে। নবগঠিত দলের নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত)। এ বিষয়ে প্রথম আলোর রিপোর্ট পড়ুন এখানে।

সেসঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টের কিছু অংশ তুলে দিলাম নিচে-
শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, তারা পার্টির সুবিধাবাদী অংশকে প্রত্যাখান করেছেন।
এ নিয়ে দলটি তিন দফা ভাঙলো। এর আগে ২০০৪ সালে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য সাইফুল হকের নেতৃত্বে আরেকটি অংশ বেরিয়ে যায় এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নামে দল গঠন করে। ১৯৯২ সালে ওয়াকার্স পাটির্, ইউনাইডেট কমিউনিস্ট লীগ ও সাম্যবাদী দল (আব্বাস)- এ তিন পার্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি গঠিত হয়। তার তিন বছরের মাথায় টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি অংশ দলত্যাগ করে নতুন দল গঠন করে।
এতে বলা হয়, "পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে পার্টির শীর্ষ তিন নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। একই সঙ্গে তারা পার্টিকে মহাজোটের মধ্যে বিলীন করে দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এভাবে তারা দলের নীতি ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বুর্জোয়াদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার কারণে তারা আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের অধীনে থাকবেন। কোনও স্বাধীন ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া পার্টির সুবিধাবাদী নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভায় যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।"
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "সুবিধাবাদী নেতৃত্ব পার্টিকে অধ:পতনের শেষ সীমায় নিয়ে গেছেন। এ নেতৃত্বের অধীনে পার্টি আর শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী পার্টি হিসাবে থাকতে পারে না।"
পার্টির আহ্বায়ক হায়দার আকবর খান রনো শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দলের বর্তমান নেতৃত্ব বুর্জোয়াদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এবং কমিউনিস্ট চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে। তাই এ নেতৃত্বকে প্রত্যাখান করে পার্টিকে পুনর্গঠিত করলাম।"
এ বিষয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, "উনারা দলত্যাগ করেছেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে দলত্যাগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্সা পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও পলিটব্যুরোর অপর সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা মহাজোটের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

Tags:

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply