আমারে এক্টা প্রশ্ন কর্তে এক মহাশয়ের খুউব মন চাইতেছে

আমারে এক্টা প্রশ্ন কর্তে জনৈক মগ্ন মহাশয়ের খুউব মন চাইতেছে- বিলক্ষণ বুঝতেছি। সেইটাই স্বাভাবিক, কারণ যেখানে প্রশ্ন নাই, বুঝতে হৈব সেখানে মৌলবাদ আছে। যে সমাজে প্রশ্ন নাই, সেই সমাজ অন্ধকার, স্থবির। তো, মগ্ন মহাশয় আবার প্রশ্নটা করার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়া এক্টা কারণও টেনে আনছেন। উনি ঘরে বৈসা নিজে নিজেই এক্টা সিদ্ধান্তে উপনীত হৈছেন যে, সচলায়তন ব্লক(!?) করার পরে আমি কুত্তা পাগল হয়ে তাদের পেছনে লেগেছি। লক্ষ্য কৈরেন, ব্লক শব্দের পরে মগ্ন মহাশয় যুগপৎ বিস্ময় আর প্রশ্নবোধক মনোভাব প্রকাশ কর্ছেন। সত্যসন্ধানের এই মনোভাব আমারে অভিভূত কর্ছে।

দুয়েক্টা জিনিস শুরু থিকাই আমার মনে হয় সবার কাছে স্পষ্ট যে, সচলায়তনের কথিত ব্লক/ব্যানের ব্যাপারে আমার কথাবার্তা পুরোপুরিই সত্যসন্ধানের চেষ্টা। এর মধ্যে ‌'একান্ত ব্যক্তিগত লাগাবাজি' বা অন্যকিছু নাই।
ব্লগিংয়ের জন্য সামহোয়্যারের এখনো কোনো বিকল্প সত্যিই নেই। সেই সামহোয়্যারে আমি বহাল তবিয়তে আছি। আমারব্লগ শুরু হওয়ার পর এইখানেও আছি। বলা যায়, নেপথ্য থিকা সাধ্যমতো সহযোগিতাও কর্তেছি। আমার মতো ব্লগার, যারা খোঁচাখুচিরেই ব্লগিং মনে করেন, এর থিকা বেশি তাদের আর কিছু দর্কার আছে বৈলা মনে হয় না।

সচলায়তনের খোঁজ পাওয়ার পর দুয়েকবার গিয়াই বুঝছি, তাদের প্রয়োজন আমার পড়বে না। অথবা আমারও প্রয়োজন পড়বে না তাদের। কর্মক্ষেত্রেই আমার সুযোগ আছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে চিন্তাশীল রচনাগুলো প্রকাশের আগেই পড়ে ফেলা। এমনকি কারণে-অকারণে এদের কাউকে কাউকে বাতিল কৈরা দেওনের সুযোগও আছে। রসায়ন শাস্ত্রের ব্যাপারে যদি আমার জানার কিছু থাকে, হুমায়ূন আহমেদের কাছ থিকা সময় ধার নেব। পদার্থবিদ্যা হৈলে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হককে ধরবো। কবিতা নিয়া জ্ঞান অর্জনের দর্কার হৈলে নির্মলেন্দু গুণের ডেরায় ঢুঁ মারবো। টেলিফোন ইনডেক্সটা সরায়া রাইখা এরপরও আমারে কেন সচলায়তনে যেতে হৈব? দ্রুতপঠনে আমার পরিচিত অনেক লেখকরেই আমি সচলায়তনে দেখি, কিন্তু তারা তো নির্বিষ সর্প। ড্রইংরুম আমার পছন্দ না। তাছাড়া সচলায়তনে যাওনের লিগা ব্রাত্য রাইসু কথিত যেই 'অধিক রুচিবোধের' প্রয়োজন পড়ে কিংবা যেই অধিক কাব্যপনার দরকার হয়, সেইটাও তো দুর্ভাগ্যবশত আমার নাই। এরপরও সচলায়তনের এক্সেসের জন্য দৌঁড়াতে হবে ঠিক কী কারণে, এক্টু বলেন তো, শুনি?

আগেও বলেছি, এখনো বলছি- ব্যক্তিগত অনুসন্ধান, ব্লগারদের টেকি বিশ্লেষণ অনুসরণ কৈরা আমি নিশ্চিত যে, সচলায়তন ব্যান কিংবা ব্লক হয় নাই। গলির মোড়ে যে অল্প পুঁজির মুদিদোকান, তারও কিন্তু সাধ হয় বিপণি বিতানে ওঠার! তারপরও বলি, সচলায়তনের প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই, থাকার কথাও না, পুরোটাই সত্যসন্ধান। বরং সেখানে আমার কিছু বন্ধুবান্ধব আছেন, সম্প্রতি নতুন কিছু সুহৃদের খোঁজও সেখান থিকা পাইছি।

ই-বাংলাদেশে গতকাল সচলায়তনের কথিত ব্যান/ব্লক হওয়া নিয়ে একটি টেকি বিশ্লেষণ প্রকাশিত হৈছিল। আজকে তার এডিটর সুশান্তের মন্তব্য থিকা জানতে পারতেছি, "সাইটে কাল সকাল থেকে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার স্পাম কমেন্ট এসেছে, বলা যেতে পারে লাখ। সেগুলা WP কন্টোল প্যানেলকে অকেজো করে ফেলেছে। এখন নতুন করে WP ইন্সটল করা ছাড়া উপায় নাই। তাই http://sushantad.blogspot.com/ এখানে ফরোয়ার্ড করে দিছি আপাতত। দেখি ৩- ৪ দিনে ওকে করা যায় কিনা!"

বি.দ্র.: জামাল ভাস্করের পোস্ট ও মন্তব্য পৈড়া আমার ধারণা হৈছে, তিনি পুরো ব্যাপারটায় সন্দিহান। সচল ব্যানের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলতেছেন না, তিনি কথা কওনের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করার কথা বলতেছেন, এমনকি সেইটা মগ্ন মহাশয়ের নিজের মুখে স্কচটেপ লাগানো হৈলেও।

প্রথম প্রকাশ  |  দ্বিতীয় প্রকাশ

Tags: , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply