বাংলাদেশে আমরা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত। সচলায়তনে প্রকাশিত কোনো লেখার সমালোচনা হতে পারে খোলাখুলি, তাদের মতের সঙ্গে দ্বিমতও থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে সচলায়তনকে নিষিদ্ধ করে দিতে হবে- এটা কল্পনাও করা যাচ্ছে না কিছুতেই। কারণ এ ঘটনা যদি সত্যি হয়, তবে তা হবে সরাসরি মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বিবেচনাহীন কুঠারাঘাত। এর একটা প্রতীকী অর্থ দাঁড়িয়ে যায়। আজ সচলায়তন, কাল আমারব্লগ, পরশু সামহোয়্যারইন ব্লগ- এভাবে একে একে আমাদের চিন্তা প্রকাশের জায়গাগুলো কেড়ে নেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সচলায়তনকে সত্যিই যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাদের জন্য শুধু নয়, আমরা নিশ্চয়ই লড়বো আমাদের সহ-ব্লগারদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য, স্বাধীন চিন্তাপ্রকাশের অধিকার আদায়ের জন্য। মুক্তচিন্তার দ্বার বন্ধ করার যে কোনো উদ্যোগকে রুখতে যা কিছু সম্ভব আমরা করবো।
এ সবকিছুর আগে এ ব্যাপারে সরকারের ব্যাখ্যা চাই অনতিবিলম্বে- নাগরিক হিসেবে এ দাবি করার অধিকার আমার আছে। মনে রাখতে হবে, ইরানের উদাহরণ বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রের জন্য কখনোই ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। আর সরকারের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি সক্রিয় থেকে নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ছে কিনা, নতুন করে এ দিকটা ভাবার সময়ও বোধহয় এসেছে।
প্রথম প্রকাশ | দ্বিতীয় প্রকাশ
0 মন্তব্য