পাইরেট বে থেকে মিনিনোভা : একে একে নিভিছে দেউটি!

গত বৃহস্পতিবার অবশেষে বন্ধ হয়ে গেল মিনিনোভা । ২০০৭ সালে চালু হওয়া টরেন্ট সাইটটি অল্পদিনেই পেয়েছিল অভাবনীয় জনপ্রিয়তা। কপিরাইট নিয়ে মামলার জের ধরে সাইট চালু আছে বটে, তবে এখন সেখান থেকে কিছুই আর ডাউনলোডের সুযোগ নেই । টরেন্ট সাইটের ভক্ত নয়- এমন ইন্টারনেট ইউজার সম্ভবত পুরো বিশ্বেই হাতেগোনা। টরেন্ট সাইটগুলোতে সফটওয়্যার থেকে সিনেমা, গান থেকে গেইম- সবই পাওয়া যায় বিনামূল্যে। মিনিনোভাই প্রথম নয়। এর আগে পাইরেট বে'র ওপর নেমে এসেছিল কপিরাইটওয়ালাদের খড়গ।

পাইরেট বে হত্যাযজ্ঞ
এই বছরের শুরুতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এমজিএম, কলাম্বিয়া পিকচার্সসহ হলিউডের মহারথীরা একজোট হয়ে পাইরেট বে'র বিরুদ্ধে কপিরাইট ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করে। বিশ্বের বৃহৎ এই ইন্টারনেট ফাইল শেয়ারিং সাইটের বিরুদ্ধে সুইডেনের আদালতে দায়ের করা সেই মামলা তোলপাড় তোলে বিশ্বজুড়ে। পাইরেট বে'র আইনজীবীরা আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে, তাদের সাইট পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে কাজ করে। সুতরাং একজন ইউজার আরেকজনের সঙ্গে কিছু বদলাবদলি করল সেজন্য তাদের দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাছাড়া তারা এ থেকে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন না। বলাবাহূল্য, পাইরেট বে'র যুক্তি আদালতে টেকেনি। সুইডিশ আদালত পাইরেট বে'র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে এক বছরের জেল তো দিয়েছেনই, জরিমানাও করেছেন বিপুল অংকের অর্থ- ৩৮ লাখ ডলার!
মামলা নিষ্পত্তির পর সুইডিশ একটি প্রতিষ্ঠান গেমিং ফ্যাক্টরি এক্স ৮০ লাখ ডলার দিয়ে পাইরেট বে'র স্বত্ত্বাধিকার কিনে নিলেও তাতে আশা জাগানোর মতো কিছু নেই। গেমিং ফ্যাক্টরি এক্স কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, আইটিউন বা ন্যাপস্টারের মতো পে-সাইট না হলেও তারা ইউজারদের কাছ থেকে একটি মাসিক ফি নিতে পারেন ভবিষ্যতে। ২০০৩ সালে চালু হওয়া পাইরেট বে'র গ্রাহক দুই কোটিরও বেশি।

একে একে নিভিছে দেউটি!
মিউজিক, ভিডিও, সফটওয়্যার ও গেমিং ইন্ডাস্ট্রি এই ইস্যুতে একজোট হচ্ছে। ফলে অন্যান্য টরেন্ট ক্লায়েন্টগুলোর ওপরেও আঘাত আসবে সামনে- এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কী হবে আমাদের, যেখানে একে একে নিভিছে দেউটি!

ছবিতে পাইরেট বে'র প্রতিষ্ঠাতাদ্বয়

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply