বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড!
শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সৈয়দ মোদাচ্ছের হোসেন সম্পর্কে একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন খোমেনী ইহসান নামের জনৈক ব্লগার । অভিযোগ তুলেই তিনি ক্ষান্ত হননি, সৈয়দ মোদাচ্ছেরকে 'চরিত্রহীন' সাব্যস্ত করে তার শাস্তি পর্যন্ত দাবি করে ফেলেছেন। কিন্তু অভিযোগের ভিত্তিটা কী? যা পড়লাম, তাতে ভিত্তি দেখা যাচ্ছে একটিই- উপমাআহমদ নামের আরেকজন ব্লগারের একটি পোস্ট। যদিও সেই পোস্টটি খুঁজে পাইনি। জনৈক খোমেনী ইহসানের মতে, তাতে ওই ব্লগার অভিযোগ তুলেছেন যে, চোখের চিকিৎসা শেষে তার বোনের মেয়ের মুখে একটি চুমো দিয়েছিলেন সৈয়দ মোদাচ্ছের হোসেন।
এই পর্যায়ে চারটি প্রশ্ন ও সন্দেহ-
১. ওটা হতে পারে স্নেহচুম্বন। এই চল পশ্চিমে বহুল প্রচলিত, আমাদের দেশেও এরকম দেখা যায়।
২. চুমো দিয়েই তিনি 'নেক্সট' হাঁক ছেড়েছেন। তার মানে, তার মধ্যে যৌন ইচ্ছা ছিল না। যদি যৌন ইচ্ছা থাকতো, তাহলে নিশ্চয়ই ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা অজুহাতে ওই রোগীকে আরো কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখতেন। কিন্তু মোদাচ্ছের তা করেননি।
৩. উপমাআহমদ ঘটনাস্থলে কোনো প্রতিবাদ করেননি কিংবা কোথাও অভিযোগও জানাননি।
৪. ইতিপূর্বে কি কখনো সৈয়দ মোদাচ্ছেরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল? যদি না উঠে থাকে, তাহলে উপমাআহমদের অভিযোগটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
অভিযোগ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সৈয়দ মোদাচ্ছেরের একটি ব্যক্তিগত পরিচিতি রয়েছে। তার ওপর তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। সবমিলিয়ে সমাজে তার একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান আছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের আগে যথেষ্ট ভিত্তি ও তথ্যপ্রমাণ আছে কিনা দেখা উচিত। একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তার শাস্তি দাবি করা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সমতূল্য।
বেশি স্বাধীনতা শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছাচারই
খোমেনী ইহসানের পোস্টটি খুবই আপত্তিকর। তার পোস্টের ভাষা অশ্লীল, মানহানিকর- গ্রাম্যও বটে। এই অপরাধের জন্য ব্লগারটিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। আশা করি, কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। মনে রাখতে হবে, খুব বেশি স্বাধীনতা শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছাচারের পর্যায়ে চলে যায়। আর এই ব্লগ বিএনপি-আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীদের খিস্তিখেউড়ের জায়গাও নিশ্চয়ই নয়!