ম্যানচেস্টার মার্ক থেকে টাচস্মার্ট
আশির দশক থেকে আসলে বিকল্প খোঁজার সুযোগই রাখছিল না চৌকোনো বাক্সের কারিগররা। ঊনপঞ্চাশের ম্যানচেস্টার মার্ক থেকে আইবিএমের মার্ক এইট অ্যালটেয়ার, তিরাশির অ্যাপল লিজা থেকে ম্যাকিন্টোস কিংবা ইদানিংকার এইচপি টাচস্মার্ট। এভাবে ডেস্কটপ নানান সাজে, নানান রূপে, নানান ঢঙে হাজির হয়েছে আমাদের সামনে, বছরের পর বছর। মনে থাকার কথা, এই ডেস্কটপকে কেন্দ্র করে পঁচাশিতে শুরু হয়েছিল অ্যাপল-মাইক্রোসফটের সেই বিখ্যাত দ্বৈরথ। ইন্টারনেট তখনও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি, মূলত ওই ডেস্কটপকে ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে মাইক্রোসফট হয়ে উঠেছিল প্রযুক্তিজগতের রাজাধিরাজ। সেই ডেস্কটপ, আহা সেই ডেস্কটপ! এই লেখা যখন লিখছি, নিঃসাড় পড়ে থাকা ডেস্কটপ পিসিটার দিকে তাকিয়ে স্মরণ করার চেষ্টা করছি, ঠিক কবে নাগাদ ওটা শেষ ব্যবহার করেছিলাম? বছরদুয়েক হবে নিশ্চয়ই কিংবা তারও বেশি।
ল্যাপটপের লাবণ্য
বিক্রির সংখ্যা বিবেচনায় নিলে বছরকয়েক আগেই ডেস্কটপ হেরে গেছে ল্যাপটপের কাছে, সুস্পষ্ট ব্যবধানে। বহনযোগ্যতা, বেশি স্টোরেজ, উন্নত গ্রাফিক্সের সুবিধা ছাড়াও দিনে দিনে নেমে আসা মূল্যতালিকাই মূলত ল্যাপটপকে জনপ্রিয় করেছে- এ বলাই বাহূল্য। ডেস্কটপের সব সক্ষমতা ল্যাপটপ এখন নিজেই ধারণ করছে। ল্যাপির কথা বাদ দেই, মামুলি ওই আইফোনেই তো এখন বসে গেছে পুরো ডেস্কটপ কি-বোর্ড। আমি নিজে অনেক ভারী ভারী অ্যাপ্লিকেশন ল্যাপটপেই স্বচ্ছন্দে চালিয়ে যাচ্ছি। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও দেখছি, পোর্টেবল কম্পিউটারভিত্তিক প্রসেসর তৈরিতে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি মনোযোগী এখন। দিন দিন বাড়ছে ডিসপ্লের পরিধিও। কদিন আগে তোশিবা দেখলাম, ১৮.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের পিসি এনেছে এই ঢাকার বাজারে।
হেই মিয়া, ডেস্কটপের প্রয়োজন কি ফুরোল তাহলে?
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): laptop, desktop, hp-touchsmart, mark8, worlds first laptop, apple, microsoft, toshiba, apple lisa, macintosh, desktop vs. laptop ;
প্রথম প্রকাশ
0 মন্তব্য