মার্কিন কোম্পানি শেভরনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠার পর গতকাল মজা করেই প্রশ্ন করেছিলাম, এই অভিযোগ হারামির বাচ্চারা কিভাবে ঠেকাবে বলে আপনারা মনে করেন? সম্ভাব্য তিনটি উত্তর দিয়েছিলাম- ১. ইহা স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের অপপ্রচার। ২. ইহা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত এবং ৩. ইহা আওয়ামী লীগের ডিজিটাল সরকারকে নিয়ে সুগভীর ষড়যন্ত্র। ইয়া পরওয়ারদিগার, আজকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ব্রি. জে. (অব.) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেছেন, পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকারের পরিকল্পনাকে নস্যাৎ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এ ধরনের অপতৎপরতা চলছে।
যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, সুতরাং খেলা কথা না। ইতিমধ্যে অনেক পত্রিকা বলতে শুরু করেছে, "ঘুষ নেয়ার অভিযোগকারী আবু সিদ্দিকী পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন।" না হলেই বা কী? অভিযোগ হল অভিযোগ! মানুষ খুঁজে কী লাভ? সেইটাতে কেউ নেই। বরং এরই মধ্যে পেট্রোবাংলার লেটারহেড প্যাড অফিসের বাইরের কেউ কীভাবে ব্যবহার করল, মন্ত্রণালয়ের ধামাধরাগুলো সেটা অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান দুজনই এখন লন্ডনে। ইতিমধ্যে তারা "আওয়ামী লীগের ডিজিটাল সরকারকে নিয়ে সুগভীর ষড়যন্ত্র" শীর্ষক নাটকের খসড়া তৈরি শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। জয়ের আবার এইদিকে প্রতিভা থাকার কথা নয়, প্রবাসী তো! তিনি কিভাবে সামাল দিচ্ছেন, সেদিকে খুউব কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছি।
আমাদের সময়ের রিপোর্টটি পড়তে পারেন এইখানে


0 মন্তব্য