মামুলি পাঠ্যবইয়ের অভাবে ৮ লাখ শিক্ষার্থী : গরিবদের দিকে একটু কি ফিরে তাকানো যায়?

প্রতিদিন কতো তুচ্ছ জিনিস ডাউনলোড করি আমি নিজেই। গান থেকে ই-বুক, সফটওয়্যার থেকে ছবি- আরো কতো কী! কেবল সামহোয়্যারইনের ব্লগারদের কথাই যদি ধরি, আছেন কি এমন কেউ, যিনি প্রতিদিন কমপক্ষে দু-চার দশ মেগাবাইট হাবিজাবি ডাউনলোড করছেন না? নিশ্চিত যে, এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়াটা কঠিন। অথচ কিনা প্রথম থেকে নবম শ্রেণীর সমস্ত পাঠ্যবই ডাউনলোডের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়ার পরও লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী আর তাদের অভিভাবকরা বইয়ের জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে! সারাদেশের প্রাথমিক, কিন্ডারগার্টেন ও ইংরেজি মাধ্যমের আট লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। এসব শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৮৪ লাখ বই। কবে শিক্ষার্থীরা এসব বই পাবে তা আপাতত জানাতে পারছে না মন্ত্রণালয় কিংবা পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। বই না পেয়ে ছেলেমেয়েরা কাঁদছে- এমন খবরও আসছে। ভাবা যায়!

ওয়েবসাইটে পাঠ্যবই ডাউনলোড রাখাটা শিক্ষা মন্ত্র্রণালয় এবং সর্বোপরি এই সরকারের একটি ভালো কাজ- তাতে সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেই ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছেন। এর মাধ্যমে শুধু যে হাতের কাছে বই পাওয়া যাচ্ছে তা নয়, কারো বইয়ের একটি পৃষ্ঠা হারিয়ে গেলে সেই শিক্ষার্থী ওয়েবসাইট থেকে ওই পৃষ্ঠাটি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। সবচেয়ে আশার কথা, সরকার যদি ইন্টারনেটকে সহজলভ্য কিংবা সহজপ্রাপ্য করে তুলতে পারে, তাহলে হয়তো হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বই মুদ্রণেরও প্রয়োজন পড়বে না আগামীতে।

তবে সমস্যা আসলে অন্যত্র। দরিদ্র অভিভাবক, সংখ্যায় যারা গরিষ্ঠ, তারা বলছেন বই ডাউনলোড করতে গিয়ে যে খরচ পড়ছে, অতো টাকা ব্যয়ের সামর্থ্য তাদের নেই। একজন শিক্ষক হিসাব করে দেখিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিসেট বই ডাউনলোড করতে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগছে।

এই জায়গায় আমরা যারা ব্লগার আছি, এক টাকা খরচ না করেও সম্ভবত ভালো একটা উদাহরণ তৈরি করতে পারি, যাদের বইয়ের সমস্যা আছে তাদের কাছে। মাত্র ৩০০ জন ব্লগার ৩০০টা বই প্রিন্ট করলেও ৩০০ জন দরিদ্র ছাত্রছাত্রীর মুখে হাসি ফোটানো যায়। সন্তানের কাছে অপমানজনক দায় থেকে মুক্তি দেওয়া যায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অভিভাবককে। সেক্ষেত্রে কাজ মূলত দুটি-
১. বই ডাউনলোড করা - এটা আমাদের জন্য একেবারেই মামুলি ব্যাপার।
২. বই প্রিন্ট করা - এখানে সামান্য খরচের ব্যাপার আছে। তবে কায়দা করে সেটাও কাটানো খুবই সহজ। বিশেষ করে চাকরিজীবি যারা আছেন, তারা প্রিন্ট করার কাজটুকু অফিস থেকে করিয়ে নিতে পারেন।

উপদেশ বিলিয়ে নিজে বসে থাকা ভালো দেখায় না। সেক্ষেত্রে আমাদের অফিসের লেজার প্রিন্টারটার কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করে রাখছি!
বই ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে
বইমেলা ওয়েবসাইট থেকেও বইগুলো স্বচ্ছন্দে পড়ার ব্যবস্থা আছে

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): text booktextbooknctbtextbook download ;
প্রথম প্রকাশ

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply