সীতাকুণ্ডের সাংসদপুত্রকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন

প্রথম আলোতে একটা ফালতু খবর এসেছে এইরকম- "চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরার ঘাটঘর এলাকায় আজ বুধবার দুপুর দুইটার দিকে আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় সাংসদ এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে এস এম আল নোমান ও তাঁর সহযোগীরা চারটি শিপইয়ার্ড দখল করে নেয়।" মামার বাড়ির আবদার, তারা নেবে না তো কি তুই নিবি ব্যাটা? বরং তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এজন্য যে, তারা মোটে চারটি শিপইয়ার্ড দখলে নিয়েছে। আরো বেশিও তো নিতে পারতো। সাংসদপুত্র নোমানের বিবেচনা বোধ প্রশংসনীয়। তাকে মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা আমি মনে করি, শ্রেফ সময়ের ব্যাপার। খবরে আরো বলা হচ্ছে, "তাঁরা নাকি শিপ ইয়ার্ডগুলো দখলে নিয়ে আনন্দফূর্তি ও ভুঁরিভোজে মেতে ওঠে।" এটা কোনো কথা? সাফল্যের আনন্দে কনসার্ট করলেই বরং আমরা অধিক খুশি হতাম।

দুঃখজনকভাবে প্রথম আলো লিখছে, "এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে নাকি প্রথম আলোর দুই সাংবাদিক রাশেদ মাহমুদ ও প্রণব বলকে সন্ত্রাসীরা লাঞ্ছিত করে। তারা ফটো সাংবাদিক রাশেদ মাহমুদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশও নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করে।" প্রথম আলোর কাণ্ডজ্ঞান দেখে গা জ্বালা করছে। কতো বড়ো বেয়াদব ও অপরিণামদর্শী সাংবাদিক, চিন্তা করছি! তোমাদের জানা উচিত ছিল ওটা সাংসদের ছেলের কাজ, হেঁজিপেজি লোকের কাজ না। কেন তোমরা নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে? তার ওপর আবার ছবিও তোলার শখ ব্যাটাদের । বলি, তোমাদের কাণ্ডজ্ঞান কি হবে না কোনোদিন?

নামাজের আগে যেমন অজু করে পাকপবিত্র হতে হয়, তেমনি কোথাও যাওয়ার আগে ৫ বছর মেয়াদী এই প্রশ্নগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেবে-
প্রশ্ন ১ : উক্ত স্থান/জমি/কলকারখানা/স্থাপনা/পাহাড়/রাস্তাঘাট/টেন্ডারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক আছে কি?
উত্তর : ক. হ্যাঁ। খ. না।
প্রশ্ন ২ : সম্পর্ক যদি থেকে, তারা কোন্ স্তরের?
উত্তর : ক. সাংসদ। খ. সাংসদের পুত্র। গ. সাংসদের শ্যালক। ঘ. ছাত্রলীগের নেতা বা কর্মী

সবগুলো প্রশ্নের উত্তর ‌'হ্যাঁ' হলে চুপচাপ ঘরে বসে থাকো! 

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply