বাংলাদেশের ওপর একটি গজবের প্রতীক্ষায়


২ জুলাই ২০০১
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালে সংসদের শেষ অধিবেশনে ‘জাতির জনকের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধান-২০০১’ নামে একটি আইন পাস করা হয়। এই আইনের বলে বিদায় নেওয়ার এক মাস আগে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনা গণভবনটি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। এছাড়া একই বছরের ২ জুলাই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে একটি গাড়ি, ড্রাইভার, টেলিফোন, চিকিৎসা সুবিধাসহ আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছোট বোন শেখ রেহানাকেও ধানমন্ডি এলাকায় গণপুর্ত অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিশাল সরকারি বাড়ি রেজিষ্ট্রি করিয়ে দেন। এছাড়া রেহানার জন্য এককালীন ১০ লাখ টাকা, তার সন্তানদের জন্য মাসিক এক হাজার ৫০০ টাকা করে ভাতা, গাড়ি, চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

২৯ অক্টোবর ২০০১
পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি সরকার। ২০০১ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপি সরকার শেখ হাসিনা ও রেহানার নেওয়া সুবিধাগুলো বাতিল করে দেয়। আইনটিও বাতিল করা হয়।

১৩ অক্টোবর ২০০৯
জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আজীবন সার্বক্ষণিক স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সুবিধাসহ দুটি বাড়িও বরাদ্দ পাবেন। জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা আজীবন চলাফেরার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, বাসস্থানের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা পাবেন।
আমরা শুনছি, গণভবন আবার শেখ হাসিনার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার কথাও ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শেখ রেহানার জন্য ধানমণ্ডিতে বড়ো আকারের সরকারি বাড়ি খোঁজা হচ্ছে। শেখ রেহানার পুত্র-কন্যা এবং জয় ও পুতুলের পরিবার প্রবাসেই স্থায়ী। এখনো পরিস্কার নয়, তবে শোনা যাচ্ছে প্রবাসেও তারা এসএসএফের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

অতঃপর একটি গজবের প্রতীক্ষায়
আমার এক সহকর্মী আজ বলছিলেন, মানুষ ঠিকই একদিন জেগে উঠবে। পিঠ দেয়ালে ঠেকলে মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য।
নৈরাশ্যবাদী আমার বিশ্বাস আসে না এইসবে। গণভবন নয়, ধানমণ্ডিও নয় কিংবা শহীদ মঈনুল রোডও নয়, এই দেশটার ওপরই একটা প্রলয়ংকরী গজব অনিবার্য। এর বিকল্প কিছু আছে বলেও মনে করি না, ধরাধামে স্বয়ং ঈশ্বর নেমে আসলেও!

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply