আগামী দিনে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে খুব মিস করবো


আগামীকাল নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, মহাজোট আসুক বা চারদলীয় জোট- বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে।

তিন যুগেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ যে প্রকৃতই এক অসামান্য ও নির্ভুল ভোটার তালিকা হাতে পেল, তার পুরো কৃতিত্ব সেনাবাহিনী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। বেয়াড়া রাজনৈতিক দলগুলোকে তারা নিবন্ধন করিয়ে ছেড়েছে, সংস্কার আনতে বাধ্য করেছে দলের অভ্যন্তরে। নির্বাচনী আচরণবিধিতেও এ যাবতকালের সবচেয়ে বড়ো সংস্কারটি এসেছে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। বিচার বিভাগ পৃথককরণ নিয়ে খালেদা-হাসিনার দীর্ঘ লুকোচুরি নিশ্চিতভাবেই দেশের প্রতিটি নাগরিককে বিরক্ত করে ছেড়েছিল। স্বল্পকালীন এই সরকার এসে বিচার বিভাগ থেকে নির্বাহী বিভাগকে পৃথক করার দুরুহ কাজটি সম্পন্ন করেছে। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মানবাধিকার কমিশন নিয়ে এই সরকার উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। দুই বছর বয়সী একটি সরকারের জন্য এই কাজ যথেষ্ট, মাথার ওপরে রাখার মতো।

তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্ভাগ্য যে, গত দুই বছরে তারা বারবার অপপ্রচারের শিকার হয়েছে। নানা মহল থেকে বারেবারে ছোঁড়া হয়েছে অবিশ্বাসের তীর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল নিশ্চয়ই তাদেরও হয়েছে, ব্যর্থতাও আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু সাফল্যের পাশে এই ব্যর্থতা চোখে পড়ে না।
মৃদুভাষী প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানসহ অন্য উপদেষ্টাদের প্রতি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ এই শুভক্ষণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে খুব মিস করবো। 

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply