মোবাইল ম্যানিয়া কোথায় গিয়ে থামতে পারে? (একটি ধোলাইখাল গবেষণা)

মনে আছে, প্রথম সিম কিনতে গিয়ে ফিলিপস ডিগা নামের একটি ডাগ্গা সেট কিনতে বাধ্য করেছিল গ্রামীণফোন। আমার কাঁদো কাঁদো অবস্থা দেখে এক অগ্রজ তার পুরনো সনি এরিকসনটির সঙ্গে ফিলিপস ডাগ্গা বদলাবদলি করেছিলেন। তখনও মোবাইলের কি-প্যাডে অভ্যস্থ হয়ে উঠিনি, এসএমএস পাঠাতে পারলেই যথেষ্ট খুশি থাকতাম। তারপর স্যামসাং, নকিয়া আরো কতো কী মডেল হাতে এল আর গেল।

আমার শুধু নয়, সবারই আসছে চাহিদা বাড়ছে, দিনের পর দিন। মোবাইলে ক্যামেরা এল - ০.৫ মেগাপিক্সেলের সেই ক্যামেরা এখন ১০ মেগাপিক্সেলে (স্যামসাং) গিয়ে ঠেকেছে। ক্যামেরা আবার পিছনে থাকলেই শুধু চলছে না, সামনেও একটা থাকা চাই। ইন্টারনেট ব্রাউজার এল, চাহিদা এবার বাংলা ইউনিকোডের। ১০০ এন্ট্রির ফোনবুক এখন হাজার- দু হাজারে পৌঁছেছে। কাজে লাগুক না লাগুক জিপিএস থাকা চাই। কম্পিউটারের কি-বোর্ড মোবাইলে ঢুকে গেছে অনেক আগেই, পুরো সাইজটাই শুধু ঢুকতে বাকি। কদিন আগে বিজ্ঞাপন দেখলাম, ইসলামী মোবাইলও চলে এসেছে। ইসলামী থিম-টিম, ওয়ালপেপার আছে সেখানে। অবস্থা এমন যে, শীঘ্রই হয় টুথব্রাশের সঙ্গে মোবাইল সুবিধা যুক্ত হবে, নয়তো মোবাইলের এককোণেই একটা টুথব্রাশ জুড়ে দেওয়া হবে।

সবমিলিয়ে মোবাইল আর মোবাইল থাকছে না। এই জিনিস কোথায় গিয়ে থামতে পারে, তারই একটা ছক এঁকেছি ওপরের ছবিটায় । এই ছবি চায়নায় গেলে হয়তো চলতি বছরেই এই মডেলের মোবাইল চলে আসতে পারে বাজারে। আর মানবজমিন ও নিউনেশনের কোনো সাংবাদিকের চোখে পড়লে এটা লিড নিউজ হয়ে যেতে পারে! 

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply