ইন ফ্যাক্ট, তাদের যে সংঘ, ১৭ বা ১৯ জনের, তার মধ্যে আমার দেখায় শত পাগলামি সত্ত্বেও আইজুদ্দিন এবং অপর একজন ছাড়া অমি রহমান পিয়াল তৃতীয় ব্যক্তি, যাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আদতেই ভণ্ডামি নেই, যারা ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কি-বোর্ডের আগায় মুক্তিযোদ্ধা সাজেন না। সত্যি বলতে কী, এই ব্লগের সবচেয়ে ভয়াবহতম 'ট্রাজেডি' ঘটানোর লোভটা আমি তাদের মুখ চেয়েই সংবরণ করি বারে বারে।
তাই বলি, চিৎকার যারা করছেন, ঘোলা জলে যারা মাছ শিকারে নেমেছেন, তাদের বলি, পিয়ালকে বাতিল করে দেওয়া যায় না। কাজটি খুব কঠিন হবে!
এবং কি-বোর্ড হাবিলদারদের যুদ্ধ
কি বোর্ড হাতে রাজা-উজির মারা থেকে এইবার একটু ক্ষ্যামা দেন ভাইসকল। এইবার একটু ঘর থেকে বাইর হন। একটা মিছিল করেন। গণস্বাক্ষর নেন। ঢাকায় লাখ লাখ মানুষ আছে যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সচেতন নয়। বিচারের দাবির যৌক্তিকতা ওদের একটু বোঝান। আপনারা দয়া করে তাদের কাছে একবার হলেও যান। ঘুরে ফিরে যে হাজারকয়েক ইন্টারনেট ইউজার আছে তাদের নিয়ে আর লম্ফঝম্প কৈরেন না। তারা যথেষ্টই সচেতন। এক কলা বারবার দেখিয়ে তাদের আর অতি জ্ঞানী বানানোর দরকার নাই। সচেতন মানুষকে অতি সচেতন করারও আর দরকার নাই। ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি। এর মধ্যে ৫০ লাখ নয়, ১০ লাখ নয়, মাত্র ১০ হাজার লোককে বোঝাতে গেলেও ব্লগবাসীদের সময় লাগবে কমপক্ষে কয়েক বছর। আসেন কাজ শুরু করি ভাইসকল। যদি আপনারা মন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান।