মুক্তচিন্তার বিপক্ষে অবস্থান নেবেন না

প্রশ্নটা তুলেছেন ব্লগার নরাধম। ধর্মের অবমাননাকারী পোস্ট লেখার জন্য আরিফুর রহমানকে আমি "উন্মাদ" সম্বোধন করেছিলাম। সে অনেক আগের কথা। কেন ডেকেছিলাম, তার পেছনের কথা এবং এখন কেন তার লেখা সমর্থন করি- সে ব্যাপারে একটু ব্যাখ্যা দিতে চাই।

যে সময়ের কথা এটা, তখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যই ছিল, যেভাবে হোক ব্লগ থিকা ছাগু তাড়ানো। কিন্তু ছাগু দমনে মাঠ যখনই আমরা একটু একটু তৈরি করে আনতেছিলাম, তখনই ধর্মাবমাননাকারী লেখা নিয়া একজন না একজন হাজির হচ্ছিল। ছাগুরা ঠিক এই সুযোগটাই বারবার নিতেছিল। ফলে পুরা প্রচেষ্টাটাই পানিতে যাচ্ছিল বারবার, খুবই বিব্রত হওয়ার মতো ব্যাপার ছিল সেটা। নবীন ব্লগাররাও বিভ্রান্ত হৈতেছিল এই ধরনের পোস্টগুলা পৈড়া। বিশেষ কৈরা তাদের জন্যই আমি এক বা একাধিক পোস্ট দেই, যার উদ্দেশ্য ছিল- আমরা ধর্মবিরোধী নই সকলকে এটা বোঝানো। এবং তখন এটার দর্কার ছিল।
তবে এটাও ঠিক যে, আরিফুর রহমানের শুরুর দিকের পোস্টগুলাতে যুক্তি-প্রমাণের বদলে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিই চোখে পড়তো বেশি। সেই প্রভাব এখনও তার মাঝে কিছুটা আছে। উপস্থাপনাটা প্রায়ই আক্রমণাত্মক হয়। এখন এটা না কর্লেও চলে। যেমন- "পুরুষ রচিত ধর্মে বিকলাঙ্গ নারী" সিরিজটা আমার ভালো লেগেছে, যুক্তিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। ইদানিংকালে দেওয়া তার আরো কিছু পোস্ট আছে, তাতে সমর্থন না দেওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাইনি।

এমনিতে কাউকে অন্ধভাবে সমর্থন করা কিংবা অন্ধভাবে কারো বিরোধিতা করে যাওয়া আমার ধাতে পড়ে না। কারো লেখায় যুক্তি থাকলে আমি তাকে সমর্থন কর্তে চাই। আর রক্ষণশীলতার দূর্গে সীমিত সাধ্য নিয়াই ক্রমাগত আঘাত করে যেতে চাই।

আমারব্লগে দেখতেছি, ভেতরে-বাইরে অনেকেই আরিফুর রহমানকে ব্যান কর্তে কিংবা "গেঞ্জাম না কইরা ২ মাসের লাইগা মুলতুবি রাখার" জন্য অনুরোধ-হুঁশিয়ারি দিতেছেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি ত্যাগ স্বীকার কর্তে রাজি আছি। আরিফুর রহমানের লেখালেখি বিঘ্নিত হয়- এমন যে কোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট- আমি নিঃশর্তভাবে লেখকের পক্ষে দাঁড়াবো।

প্রথম প্রকাশ

Tags: ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply