১৫ আগস্ট : মধ্যরাতের দলীয় সন্ত্রাস

আমাদের পাড়ায় এই মধ্যরাতে মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ চলছে তারস্বরে, সঙ্গে দেশাত্মবোধক গীত। আমার মা চিন্তা করছিলেন কী করে এই শব্দ-সন্ত্রাসের মাঝে ঘুমোবেন! আমারও ভীষণ বিরক্তি লাগছে। মানুষকে কতোভাবে বিরক্ত করা যায়- তার একটা প্রদর্শনী হয়ে যায় এই ১৫ আগস্ট তারিখে- প্রতি বছরই। এগুলো নিশ্চিতভাবেই দলীয় সন্ত্রাস।
অন্য দেশে হলে অসময়ে মানুষকে বিরক্ত করা এবং শব্দসন্ত্রাসের দায়ে সিটিজেন কিংবা সিটিজেন রাইটস গ্রুপগুলো মামলা-মোকদ্দমা করে নাকানিচুবানি খাওয়াতো নিশ্চিত। আমাদের দেশে মামলা তো দূরের, আপনি নিজের বিরক্তিটাও প্রকাশ করতে পারবেন না। আপনাকে আওয়ামী পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে আওয়ামী বিচারকের কাছে সোপর্দ করবে। আর আওয়ামী বিচারক পাঠাবেন আওয়ামী জেলারের কাছে। সেটাই স্বাভাবিক, যেখানে এমনকি শেখ মুজিবের নামের আগে 'বঙ্গবন্ধু' না বসানোও এই দেশে প্রথম শ্রেণীর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। বোধকরি, আওয়ামী লীগের মূল এজেন্ডা হল, এই দেশে একটি স্তাবক শ্রেণী তৈরি করা, যারা বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু নাম জিকির করে করে মুখে ফেনা তুলবে।

শেখ হাসিনা কোনোভাবেই মুগ্ধ হওয়ার মতো নেত্রী নন, মানুষকে মুগ্ধ করার গুণ তার নেই। তারপরও আমি গত নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগকে। তারেক-কোকো আর পারিষদের লাগামহীন দুর্নীতি আর আপত্তিকর জামায়াত-প্রীতি বিএনপির ওপর মন বিষিয়ে তুলেছিল ভীষণভাবে। তাই আস্থা রেখেছিলাম আওয়ামী লীগের ওপর। বলাবাহুল্য, সেই আস্থার প্রতিদান পাইনি এখন পর্যন্ত। আমি এই প্রজন্মের একজন, আওয়ামী লীগ আমাকে মুগ্ধ করতে পারছে না, এর মানে আমার মতো আরো হাজার হাজার তরুণকে তারা মুগ্ধ করতে পারছে না। এটা তাদের ব্যর্থতা। নাহ্, এই দলটা ৩৮ বছরেও বদলালো না!

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): শেখ মুজিবআওয়ামী লীগ১৫ আগস্টশব্দ দূষণnoise pollutionsound pollutionsheikh mujibawami league15 august ;

প্রথম প্রকাশ

Tags: , ,

About author

ফিউশন ফাইভ। ব্লগ লিখছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

0 মন্তব্য

Leave a Reply